যেসব খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়

|

রক্তে কোলেস্টেরল পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা বেড়ে যায়। খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে পারলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।

কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো রক্ত সঞ্চালনকে ব্যাহত করে এবং জটিল শারীরিক সমস্যা তৈরি করে।

আসুন জেনে নেই যেসব খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

ক্যানড সবজি

টিনজাত খাবারে থাকে প্রচুর সোডিয়াম। ছোটো টুকরা করে কাটা অর্ধেক কাপ টমেটোয় থাকে ছয় মিলিগ্রাম সোডিয়াম। কিন্তু টিনজাত সমপরিমাণ টমেটোতে আছে ২৫০ মিলিগ্রাম। অতিরিক্ত লবণ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

পাস্তা

সাদা পাস্তায় আছে কার্বোহাইড্রেট, সাধারণ চিনি। এতে যে চিনি থাকে তা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এতে ধমনীর দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটায় ইনফ্লামেশন। এই চিনি রক্তবাহী নালীগুলোকে সরু করে তোলে।

বরফে জমাট খাবার

ব্যস্ত জীবনে ফ্রিজে রাখা খাবার আমাদের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। মাছ, মাংস কিংবা সবজি সবই বরফে জমিয়ে রাখি আমরা। আবার কিছু খাবার ফ্রিজেই রাখা হয়। ফ্রিজে থাকা খাবারে থাকে ফ্যাট আর সোডিয়াম। এগুলো হৃদস্বাস্থ্যের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ।

ডিম

এটা দারুণ স্বাস্থ্যকর এক খাবার। একটি ডিম থেকে মেলে ৭ দশমিক ৫ গ্রাম প্রোটিন আর মাত্র ৭৬ ক্যালরি। কিন্তু যাদের দেহে কোলেস্টেরল বেশি তাদের জন্যে একটি খবর আছে। তা হলো, প্রতিদিন যে পরিমাণ কোলেস্টেরল গ্রহণ করা দরকার, তার ৬২ শতাংশই চলে আসে মাত্র একটি ডিম থেকে।

বিস্কুট

ভালো বেকারির মজার বিস্কুটের লোভ সামলানো কঠিন। কিন্তু সাধারণ সাইজের একটি বিস্কুটে ৪৬০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে। এর সঙ্গে বিস্কুট তৈরিতে আরো যোগ হয় ২ দশমিক ৫ গ্রাম সম্পৃক্ত ফ্যাট। এ ধরনের ফ্যাট রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

সাদা চাল

এ ধরনের চাল এক ধরনের স্টার্চ। আর এটা প্রক্রিয়াজাত খাদ্যশস্য। ফলে এর পুষ্টি উপাদান এবং ফাইবারের বেশির ভাগই চলে যায়। আমাদের দেহ শস্যদানার চেয়ে অনেক দ্রুত স্টার্চ ভেঙে ফেলে। ফলে রক্তে হঠাৎ করেই গ্লুকোজ বেড়ে যায়। এটা হৃদরোগের ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

পনির

গবেষণায় বলা হয়, প্রতিদিন ৪০ গ্রাম পনির খেলে হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। আমাদের দেশে ঘরে ঘরে না থাকলেও অনেকেই পনিরকে নিয়মিত খাবার বানিয়ে নিয়েছে। তাদের জন্যে খারাপ খবর আছে। পনিরে প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত ফ্যাট আর সোডিয়াম থাকে। এটা হৃদযন্ত্রের ক্ষতির কারণ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply