মিসরের পোল্ট্রি বাজারে চলছে অস্থিরতা। গত এক বছরে কেজি প্রতি মুরগির দাম তিন গুণ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ মিসরীয় পাউন্ডে। দাম বৃদ্ধির জন্য রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থাকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা। বাড়তি দাম নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে ছড়িয়েছে তীব্র অসন্তোষ। খবর রয়টার্সের।
গত এক বছর ধরে দেশটির পোল্ট্রি ব্যবসায় চলছে চরম দুঃসময়। পোল্ট্রি ফিডসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খামার, আশঙ্কাজনক হারে কমেছে উৎপাদন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রির জন্য খুবই দুঃসময় চলছে। মুরগির খাদ্যের দাম অনেক বেশি। শ্রমিক থেকে শুরু করে, পশু চিকিৎসক সবাই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
এক বছরে দেশটিতে প্রতি কেজি মুরগির দাম বেড়েছে তিন গুণের বেশি। আকাশ ছুঁয়েছে ডিমের দামও। এতে ক্রেতাদের মধ্যে ছড়িয়েছে অসন্তোষ। বাধ্য হয়ে খাদ্য তালিকা থেকে মাংস বাদ দিচ্ছেন অনেকে।
জনগণ বলছেন, গত রমজানের তুলনায় কেজি প্রতি মুরগির মাংসের দাম অন্তত তিন গুণ বেড়েছে। গত বছর এক কেজি মুরগির দাম ৩০ মিসরীয় পাউন্ড ছিল। এ বছর তা দাঁড়িয়েছে ৯০ মিসরীয় পাউন্ডে।
এক ক্রেতা জানান, আগে মাসে পাঁচটা মুরগি কিনতাম। এখন দামের কারণে মাসে তিনটা মুরগি কিনি।
এদিকে দেশটির অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী করছে কর্তৃপক্ষ। বলছেন- আর্থিক ক্ষতির জেরে ব্যবসা গোটাতে বাধ্য হয়েছেন বিপুল সংখ্যক খামারি।
কায়রো চেম্বার অব কমার্সের কর্মকর্তা আবো আল ফোতো মাবরৌক বলেন, ব্রয়লার খাতে মোট উৎপাদনের পরিমাণ ছিল দেড় বিলিয়নের কাছাকাছি। বর্তমানে তা ৭০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এক বছরে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ছোট ফার্ম বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে মাংসের বিকল্প হিসেবে কম দামে মুরগির পা খেতে জনগণকে আহ্বান জানায় মিসরের সরকার। যা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে প্রশাসন।
এএআর/
Leave a reply