ইউক্রেনের তীব্র প্রতিবাদের মুখেও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির সাংবিধানিক দায়িত্ব পেলো রাশিয়া। মূলত, নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের প্রত্যেকেই এক মাসের জন্য এ সাংবিধানিক দায়িত্ব পেয়ে থাকে। রাশিয়া সর্বশেষ এ দায়িত্ব পেয়েছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে; সে বার ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে তারা। খবর বিবিসির।
শনিবার (১ এপ্রিল) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি হলে পুতিনই একমাত্র রাষ্ট্রনায়ক হবেন যার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারাদেশ থাকা সত্ত্বেও তিনি জাতিসংঘের এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ প্রতিনিধি ভাসিলি নেবেনজিয়া এক বিবৃতিতে জানান, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ইস্যুর কিছু বিষয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। একটি ‘ইউনিপোলার’ বিশ্বব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা করতে চাই আমরা।
এদিকে, জাতিসংঘে রাশিয়ার এমন গুরুত্বপূর্ণ পদ লাভকে ‘এপ্রিল ফুল ডে’র সবচেয়ে বাজে কৌতুক’ উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা কাউন্সিলের গুরুতর কাঠামোগত সমস্যা আছে- বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা।
এ ঘটনাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের ধর্ষণ’ উল্লেখ করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পদলয়ায়েক বলেন, যে পক্ষ একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছে, সম্ভাব্য সব উপায়ে মানবাধিকার ও অন্যান্য আইনভঙ্গ করেছে নিউক্লিয়ার অস্ত্রের আইন ভেঙেছে তাদের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার সর্বোচ্চ সংস্থাকে নেতৃত্ব দেয়ার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, গত বছরও আমরা অনুরোধ করেছিলাম সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্রটির সদস্যপদ বাতিলের।
এদিকে, ইউক্রেনের এমন বিরোধীতার জবাবে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জন পিয়েরে বলেন, ইউএন চার্টারে আমাদের হাত বাধা। দুর্ভাগ্যজনক হলেও রাশিয়া এখনও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। আর, কোনো স্থায়ী সদস্যকে বহিষ্কারের এখতিয়ার কারো নেই। এটা আমাদের বাস্তবতা, আর এ বাস্তবতা পরিবর্তনের কোনো আইনসঙ্গত উপায়ও আমাদের জানা নেই।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য। আর অস্থায়ী দশ সদস্যসহ নিরাপত্তা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ১৫। প্রত্যেক সদস্য একমাস করে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে।
/এসএইচ
Leave a reply