চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সদস্য পদ স্থগিত হতে পারে- এমন গুঞ্জন বিভিন্ন মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে গতকাল শুক্রবার থেকেই। এ প্রসঙ্গে এরইমধ্যে গণমাধ্যমে বেশ কিছু খবরও প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে, জায়েদ খানের দাবি, জোর করে সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব নেয়া নিপুণের গঠনমূলক সমালোচনা করেছেন বলেই তার সদস্যপদ বাতিলের ‘পাঁয়তারা’ চলছে।
জানা গেছে, রোববার (২ এপ্রিল) জরুরি এক বৈঠক ডেকেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি। শোনা যাচ্ছে, এ বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয় হতে পারেন ‘জায়েদ খান’। সমিতি থেকে জায়েদ খানের সদস্য পদ স্থগিতের সিদ্ধান্তও আসতে পারে এ বৈঠকে। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও কোনো মন্তব্য করেননি শিল্পী সমিতির কোনো সদস্য।
শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জায়েদ খান গণমাধ্যমকে বলেন, আমি যখন মুম্বাইয়ে ছিলাম ঠিক তখন আমাকে চিঠি পাঠানো হয়েছে যাতে আমি উত্তর দিতে না পারি। সেই ইস্যু তুলে আমার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর আগে, রুবেল ভাই ও সুচরিতা আপার কার্যনির্বাহী পদ বাতিল করা হয়েছে। এবার আমার পেছনে লেগেছে।
চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে জায়েদ বলেন, কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়েছে, ৭ এর (ক) ধারা মোতাবেক আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ধারাটি এমন যে, সংগঠনের উদ্দেশ্য পরিপন্থী ও বিরোধী কার্যক্রম করলে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। কিন্তু, এটা পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে মামলা এখনো বিচারাধীন। হাইকোর্ট আমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রায় দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে নিপুণ আপিল করেছে, যে আপিলটি গ্রহণ করে শুনানির জন্য রাখা হয়েছে। সেই বিচারাধীন পদ নিয়ে নিজেকে কীভাবে সাধারণ সম্পাদক দাবি করে তিনি আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।
জায়েদ খানের দাবি, জোর করে সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব নেয়া নিপুণের গঠনমূলক সমালোচনা করেছি বলেই তিনি আমার সদস্যপদ বাতিলের পাঁয়তারা করছে।
এদিকে, গত ২০২১-২৩ মেয়াদী চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সুচরিতা কার্যনিবাহী সদস্য আর রুবেল সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে কার্যনিবাহী কমিটির পরপর ৩ মিটিংয়ে তারা অংশগ্রহণ করেননি এমনকি সমিতির উন্নয়নমূলক কোনো কাজেও তাদের দেখা যায়নি বলে তাদের তাদের সদস্যপদ স্থগিত করে শিল্পী সমিতি।
এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, রুবেল ও সুচরিতার সঙ্গেও অন্যায় হয়েছে। আদালত যখন সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থার রায় দিয়েছে, তখন তারা কেউই সমিতির মিটিংয়ে যায়নি। তখন তাদের কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু ইলিয়াস কাঞ্চন সাহেব তো সমিতির সভাপতি হিসেবে তাদের চিঠি দিতে পারেন না। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চিঠি দিতে পারেন সাধারণ সম্পাদক অথবা সহ-সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু তা হয়নি, এ বিষয়ে সুচরিতা ম্যাডাম ও রুবেল সাহেব ব্যাখ্যা চাইলেও জবাব পাননি তারা। উল্টো তাদের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।
/এসএইচ
Leave a reply