দুই মাসের ব্যবধানে তিনবার বাড়লেও এপ্রিলের শুরুতে বাড়ছে না বিদ্যুতের দাম। জ্বালানির দাম স্থিতিশীল থাকায় আপাতত দাম অপরিবর্তিত থাকছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এবার গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা ও সরবরাহে ঘাটতি থাকবে না দাবি করে তিনি জানান, এবার গরমে লোডশেডিং থাকবে না।
চলছে রোজা, বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। সেই সাথে বাড়ছে গরম। আসছে সেচের মৌসুমও। গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা এক লাফে বাড়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ বিভাগের প্রাক্কলন, এবার চাহিদা দাঁড়াবে সাড়ে ষোল হাজার মেগাওয়াটের মতো।
আমদানি করা আদানির বিদ্যুৎ আর রামপালসহ আরও দুটি কেন্দ্র থেকে পাওয়া প্রায় তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রয়েছে সরকারের পরিকল্পনায়। তার জোরেই ভোটের বছর লোডশেডিং না হওয়ার আশ্বাস দিলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা ১৬-১৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকবে ধরে নিয়েছি। আমি মনে করি আমরা তা ম্যানেজ করতে পারব। এবার মারাত্মক কোনো লোডশেডিংয়ে যেতে হবে না।
চলতি বছরের শুরু থেকে তিন দফা বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। নির্বাহী আদেশে প্রতিবারই ৫ শতাংশ করে বাড়ানো হয়েছে। ইঙ্গিত ছিল, প্রতি মাসেই বাড়তে পারে দাম। তবে আপাতত আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম না বাড়ায় রোজায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পথে হাঁটছে না সরকার।
তবে জ্বালানির দাম হ্রাস পেলে বিদ্যুতের দাম কমবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কোনো প্রস্তাব পাইনি। জ্বালানির দাম যদি স্থিতিশীল থাকে, তবে সেক্ষেত্রে অ্যাডজাস্টমেন্টের প্রয়োজন হবে না। আর কমানোর বিষয়টিও দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এর আগে এ সরকারের মেয়াদে গ্রাহক পর্যায়ে ১৩ ও পাইকারিতে ১১ বার বাড়ানো হয় বিদ্যুতের দাম।
এটিএম/
Leave a reply