নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা প্রথম টি-টোয়েন্টি ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছিল। নির্ধারিত ২০ ওভারে খেলার ফলাফল না আসায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভার পর্যন্ত। কিউইদের বিপক্ষে সুপার ওভারে গড়ানো ম্যাচে নাটকীয় জয় পায় শ্রীলঙ্কা। ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো লঙ্কানরা।
অকল্যান্ডে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের প্রথম বলেই শূন্য করে সাজঘরে ফেরেন পাথুম নিসঙ্কা। তবে হাল ধরার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস এবং কুশল পেরেরা। ৯ বলে ২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন মেন্ডিস। তবে কুশল পেরেরা ৪৫ বলে অপরাজিত ৫৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া চরিথ আসালঙ্কা ৪১ বলে ৬৭ রান করেন। ১১ বলে ২১ রান করেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় লঙ্কানরা। কিউইদের হয়ে জেমস নিশাম নেন সর্বোচ্চ ২ উইকেট। এছাড়াও অ্যাডাম মিলনে, বেঞ্জামিন লিস্টার, হেনরি শিপলে নেন ১টি করে উইকেট।
১৯৭ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রথম সাত বলে দুই ওপেনার চ্যাড বাওয়েস ও টিম সেইফার্ট প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৩ রানে ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ল্যাথামকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন ড্যারেল মিচেল। ২৭ রানে লাথাম বিদায় নিলেও মার্ক চ্যাপম্যানের সাথ ৬৬ রানের জুটি গড়ে কিউইদের জয়ের আশা দেখায় মিচেল।
কিন্তু ১৪৪ থেকে ১৫৬ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে আবার বিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড। তাতে শেষ ৩ ওভারে দরকার ছিল ৪১ রান। ১৮তম ওভারে দুই ছয় ও এক চারে ১৮ রান তুলে রাচিন রবীন্দ্র ম্যাচে উত্তেজনা ফেরান। পরের ওভারে তার আরেকটি চার, একটি উইকেটের বিনিময়ে আসে ১০ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলে রাচিনের আউটে স্বাগতিকদের জয়ের আশা ভেস্তে যায়। ১৩ বলে ২টি করে চার ও ছয়ে ২৬ রান করেন তিনি। কিন্তু নন স্ট্রাইকে শিপলিকে রেখে রান বের করে নেন সোধি। শেষ বলে জয়ের জন্য ৭ রান দরকার ছিল স্বাগতিকদের। শানাকার করা বলে লেগ সাইডের উপর দিয়ে লম্বা ছক্কায় খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
শ্রীলঙ্কার হয়ে প্রমোদ মাদুশান, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা এবং দাসুন শানাকা নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়াও, মহেশ থিকশানা, দিলশান মাদুশাঙ্কা পান ১টি করে উইকেট।
সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। লঙ্কান স্পিনার মাহিশ থিকশানার করা সেই ওভারে কেবল ৮ রানই নিতে পারে স্বাগতিকরা। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেন মিচেল। পরের বলটি ওয়াইড হয়। দ্বিতীয় বলে উঠিয়ে মারতে গেলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিশাম। তৃতীয় বলে রান নিতে পারেননি ক্রিজে আসা চাপম্যান। চতুর্থ বলে দুই রান নেয়ার পর পঞ্চম বলে ৪ হাঁকান এই ব্যাটার। কিন্তু শেষ বলে তাকেও আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়।
৯ রানের পুঁজি ডিফেন্ড করতে নিউজিল্যান্ডের বোলার ছিলেন অ্যাডাম মিলনে। তার প্রথম সিঙ্গেল নেন কুশল মেন্ডিস। তবে দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান আসালঙ্কা। পরের বলটি নো করেন মিলনে। সেই বলে চার হাঁকিয়ে লঙ্কানদের জয় নিশ্চিত করেন আসালঙ্কা।
/আরআইএম
Leave a reply