হিজাব না পরলে বিন্দুমাত্র সহানুভূতি ছাড়াই বিচার করা হবে: ইরানের বিচার বিভাগীয় প্রধান

|

হিজাব ইস্যুতে আন্দোলন-বিক্ষোভ না চললেও এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ইরান। হিজাব পরা বা না পরা নিয়ে প্রতিনিয়ত দেশটিতে তৈরি হচ্ছে ক্ষোভ ও দ্বন্দ্ব। তবে এবারে দেশটির বিচার বিভাগীয় প্রধানের পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে এলো কঠোর বক্তব্য। তার ভাষ্য মতে, জনসম্মুখে যারা হিজাব পরবে না, তাদের প্রতি সামান্যতম নমনীয়তা না দেখিয়েই বিচারিক কার্যক্রম চালানো হবে। খবর স্কাই নিউজের।

শনিবার (১ এপ্রিল) এ সতর্কবার্তা দেন ইরানের বিচার বিভাগীয় প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনী এজেই। তিনি বলেন, জনসম্মুখে যারা হিজাব পরবে না, তাদেরকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে এবং কোনো ধরনের ক্ষমা বা সহানুভূতি ছাড়াই তাদের বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। হিজাব না পরা ইরানের নৈতিক মূল্যবোধকে অসম্মান করার সামিল। তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।

তবে হিজাব না পরলে কী ধরনের শাস্তি পেতে হবে সে সম্পর্কে কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। অবশ্য এর আগে দেশটিতে এই সংক্রান্ত অভিযোগে গ্রেফতার, জরিমানা এমনকি মৃত্যুদণ্ডও দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভালোভাবে হিজাব না পরার ‘অপরাধে’ পুলিশি হেফাজতে মাহশা আমিনি নামের ২২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই দেশটিতে শুরু হয় হিজাব বিরোধী আন্দোলন। এই আন্দোলন ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার এমনকি মৃত্যুদণ্ড দেয় দেশটির সরকার। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার মুখোমুখি হলেও এ বিষয়ে ইরান কর্তৃপক্ষ যে অনড়, তারই প্রমাণ পাওয়া গেলো আরও একবার।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply