ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আবারও হোঁচট খেলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নিউক্যাসলের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে রেড ডেভিলরা। এই জয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলের তিনে উঠে এলো নিউক্যাসল। এরিক টেন হাগের দল নেমে গেলো চারে। দুই দলের সমান পয়েন্ট হলেও গোল সংখ্যায় এগিয়ে থাকায় তিন নম্বরে নিউক্যাসল।
নিজেদের ঘরের মাঠ সেন্ট জেমস পার্কে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে আতিথ্য দেয় নিউক্যাসল। ম্যাচের শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে ইউনাইটেডকে চেপে ধরার চেষ্টা চালায় নিউক্যাসল। কিছুটা কোণঠাসা থাকা ইউনাইটেডও পাল্টা জবাব দিতে ছিল মরিয়া। জমে ওঠে ম্যাচ। দ্বাদশ মিনিটে সফরকারীদের ডাচ ফরোয়ার্ড ভট ভেহর্স্টের শট বাইরের জাল কাঁপায়।
প্রথম ভালো সুযোগটি তৈরি করে নিউক্যাসলই। ম্যাচের ১৭ মিনিটে জ্যাকব মার্ফির ক্রসে আলেক্সান্ডার ইসাকের হেড কোনোমতে ডেভিড ডে হেয়া ফিস্ট করে ফেরানোর পর জো উইলকের ফিরতি শটও খুঁজে পায়নি ঠিকানা। বল প্রতিহত হয় গোলরক্ষকের গায়ে লেগে। প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে স্বাগতিক দর্শকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান উইলক। ডান দিক থেকে ব্রুনো গুইমারায়েস বাড়ানো ক্রস হেডে গোলমুখে বাড়ান দূরের পোস্টে থাকা অ্যালান সা-মাক্সিমা, হেডেই সুযোগ কাজে লাগান উইলক। এগিয়ে যায় নিউক্যাসল। সমতায় ফিরতে মরিয়া ম্যানচেস্টার ইনাইটেড শেষ দিকে হজম করে আরও একটি গোল। ৮৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন উইলসন। নিশ্চিত হয়ে যায় নিউক্যাসলের জয়। বাধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে তারা।
দুর্দান্ত এই জয়ে আগামী মৌসুমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার আশা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রাখল নিউক্যাসল। সবশেষ ২০০৩ সালে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব প্রতিযোগিতায় খেলেছিল ম্যাগপাইরা। দুই দশক পর আবারও ইংলিশ লিগের সেরা চারে থেকে মৌসুম শেষ করার সম্ভাবনা জাগাল সৌদি আরবের মালিকানায় বদলে যাওয়া ক্লাবটি।
২৭ ম্যাচে দুই দলের পয়েন্টই সমান ৫০ করে; গোল পার্থক্যে এগিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নিউক্যাসল। ২৯ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা আর্সেনাল অনেকটা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটি ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে।
/আরআইএম
Leave a reply