আনুষ্ঠানিকভাবে আজ ন্যাটোতে যোগ দেবে ফিনল্যান্ড

|

৩১তম সদস্য হিসেবে আজ ৪ এপ্রিল পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিচ্ছে ফিনল্যান্ড। গত সপ্তাহে তুরস্ক আপত্তি প্রত্যাহারের পরই হেলসিঙ্কির জন্য খুলে যায় ন্যাটোর দুয়ার। এর মাধ্যমে, পুরো নর্ডিক অঞ্চল আরও সুরক্ষিত হলো বলে দাবি সামরিক জোটের। খবর ডেইলি মেইলের।

গত এক বছরের তর্ক-বিতর্ক আর দর কষাকষির পর অবশেষে ন্যাটোর খাতায় নাম লেখাচ্ছে হেলসিঙ্কি। আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক জোটের ৩১তম সদস্য হচ্ছে ফিনল্যান্ড। ন্যাটোর ইতিহাসে আবেদনের করার পর সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে সদস্যপদ পেলো নর্ডিক এই দেশটি।

এ নিয়ে ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ৩১তম সদস্য হিসেবে ফিনল্যান্ডকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত আমরা। ন্যাটোর সদর দফতরে প্রথমবারের মতো উড়বে ফিনিশ পতাকা। এখন থেকে আরও শক্তিশালী এবং নিরাপদ হবে দেশটি। শুধু ফিনল্যান্ড না, গোটা নর্ডিক অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তার জন্যই তাদের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগ পর্যন্ত মোটাদাগে কোনো জোটেরই আগেপিছে ছিল না ফিনল্যান্ড। কিন্তু ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পরই নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসে দেশটি।

২০২২ সালে সদস্যপদ পাওয়ার আবেদনের পর থেকেই নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে শুরু করে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে খ্যাত ফিনল্যান্ড। এরইমধ্যে যুদ্ধকালীন সেনা সংখ্যা তিনগুণ বাড়িয়ে সাড়ে আট লাখেরও বেশিতে উন্নীত করেছে দেশটি। স্থলপথে ফিনিশ সেনারা বর্তমানে ইউরোপের অন্যতম শক্তিধর। আকাশ প্রতিরক্ষায়ও নিজেদেরকে করে তুলছে আরও শক্তিশালী। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কিনছে সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ থার্টি ফাইভ।

১৯৪৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা, নরওয়েসহ মোট ১২টি দেশ মিলে গঠিত হয় সামরিক জোট- নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন বা ন্যাটো। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে প্রতিরোধ করা এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সমন্বিত সুরক্ষা দেয়া।

সময়ের সাথে ক্রমেই প্রসার লাভ করে এই জোটটি। ১৯৫২ সালে তুরস্ক, গ্রিস এবং ১৯৫৫ সালে ন্যাটোতে যুক্ত হয় পশ্চিম জার্মানি। ১৯৯৯ সাল থেকে সাবেক পূর্বাঞ্চলীয় জাতি রাষ্ট্রগুলোকেও সদস্যভুক্ত করতে শুরু করে সামরিক জোট। সবশেষ ২০১৭ সালে সদস্য হয় মন্টিনিগ্রো এবং ২০২০ সালে নর্থ মেসিডোনিয়া।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply