বঙ্গবাজারে আগুন: মালামাল চুরির অভিযোগ

|

বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সময় মালামাল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মার্কেটটির গ্রাউন্ডের কিছু দোকান থেকে মালামাল উদ্ধার করা গেছে। কিন্তু এ সময় মালামাল চুরি হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন দোকানদাররা।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বঙ্গবাজারে লাগা এ আগুন দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে নিয়ন্ত্রণে আসে। এখন পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নেভেনি। পুরোপুরি নেভাতে আরও সময় লাগবে।

দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, প্রচণ্ড বাতাস, পানির সংকট ও উৎসুক জনতার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয়েছে এবং ভয়াবহতা তৈরি হয়েছে। কেন আগুন লেগেছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস অফিসে হামলার ঘটনায় এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। বলেন, মার্কেটটি ২০১৯ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। দশবার নোটিশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কেউ মানেনি।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। তবে, ফায়ারের ৮ জন কর্মী আহত হওয়ার কথা জানান।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোরের দিকে বঙ্গবাজারে আগুনের সূত্রপাত হয়। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ৬টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রথম ইউনিট। মার্কেটটিতে সহস্রাধিক কাপড়ের দোকান থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের ভয়াবহতা বুঝতে পেরে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের সব ক’টি ইউনিট কাজে নেমে পড়ে। খবর পাঠানো হয় ঢাকার সকল স্টেশনে। আগুন নিয়ন্ত্রণে সবশেষ কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট।

ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমানবাহিনীর বিশেষায়িত টিম। আছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দলও। অগ্নিনির্বাপনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে হেলিকপ্টারও।

এদিকে, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের মধ্যেই বিক্ষুব্ধ জনতা ফায়ার সার্ভিসের হেডকোয়ার্টারে ভাঙচুর করে। এতে ফায়ারের দুইজন কর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতে এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply