আল-আকসায় নামাজরত মুসল্লিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে হামাসের হুমকি, নিন্দায় সরব মুসলিম বিশ্ব

|

দ্য মিডলইস্ট মনিটর থেকে সংগৃহীত ছবি।

জেরুজালেমের পবিত্র আল আকসা মসজিদ ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছেই। এবার নামাজরত মুসল্লিদের ওপর আগ্রাসন, মারধর ও ধরপাকড় চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলার কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে গাজাবাসী। প্ল্যাকার্ড হাতে, টায়ার পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। আলজাজিরা। খবর দ্য মিডলইস্ট মনিটরের।

সম্প্রতি, আল-আকসায় নামাজরত মুসল্লিদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক, মালয়েশিয়াসহ সমগ্র মুসলিম বিশ্ব। আল আকসায় আগ্রাসনে চুপ থাকবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

এদিকে, টানা ২য় দিনের মতো আল-আকসায় ধরপাকড় চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এখানেই শেষ নয়। মসজিদের ভেতরেও হামলা চালিয়েছে ইহুদি বাহিনী। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর লাঠিচার্জ, স্টান গ্রেনেড ও রাবার বুলেটও চালিয়েছে তারা।

জানা গেছে, গভীর রাতেও মসজিদ চত্বরে ঢুকে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। শুরু করে তাণ্ডব। গুলিবিদ্ধ হয় ১৪ বছরের এক কিশোর। হামলা ঠেকাতে ইট-পাটকেল ছোড়েন ফিলিস্তিনিরা। তবে তেল আবিবের দাবি, মসজিদের ভেতর ইট-পাটকেল, পটকা জড়ো করে রেখেছিল ফিলিস্তিনিরা।

এদিকে, এ ঘটনার কঠোর জবাব দিতে সংকল্পবদ্ধ ফিলিস্তিনই স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, আল আকসাকে রক্ষায় প্রয়োজনে ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭মবারের মতো যুদ্ধ করবো। সন্তানদেরসহ জীবন দিয়ে দেবো। আল আকসা আমাদের। সমস্ত সত্ত্বা আর রক্ত দিয়ে হলেও তা রক্ষা করবো।

এরইমধ্যে, ফিলিস্তিন থেকে বেশ কয়েকটি রকেট ছোঁড়া হয়েছে ইসরায়েলের দিকে। সরাসরি এসব রকেট হামলার দায় স্বীকার না করলেও এগুলো তেল আবিবকে জবাব দেয়ার উদ্দেশে এসব করা হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে হামাস।

এ প্রসঙ্গে হামাস মুখপাত্র হাজেম কাশেম জানান, ফিলিস্তিনিদের ক্ষোভের বিস্ফোরণে পুড়তে হবে দখলদারদের। ইসরায়েল যা করছে তা অপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন। মুসল্লিদের ওপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে ছাড় পাবে না তারা।

এদিকে, আল-আকসাকে ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতায় আবারও উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানও। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, নামাজরত মানুষদের ওপর বোমা, বুলেট দিয়ে হামলা চালানো নিঃসন্দেহে অবিচার। এ ধরনের হামলার পর নিশ্চুপ থাকতে পারে না তুরস্ক। জেরুজালেমে আমাদের যে ফিলিস্তিনি ভাই-বোনেরা প্রতিরোধ গড়ছে তারা একা নয়।

প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি জানিয়ে তুরস্ক, জর্ডান, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে হয়েছে মিছিল। প্রতিবাদ হয়েছে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply