নির্বাচন ঘিরে ভাবনা: ‘ইভিএম ব্যবহার বন্ধ হলেও রাজনৈতিক মতৈক্যের পথ তৈরি হয়নি’

|

ফাইল ছবি

রাসেল আহমেদ:

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালটেই করার ঘোষণা ইতোমধ্যে দিয়েছে ইসি। দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একপক্ষের বড় আপত্তি ছিল এই ইভিএম নিয়ে। ইসির এই ঘোষণায় ভোটের লড়াইয়ে নামতে দলগুলোর দূরত্ব কিছুটা কমলো কি না এখন সে প্রশ্ন নানা মহলে?

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ হলেও রাজনৈতিক মতৈক্যের সম্ভাবনা দেখছেন না নির্বাচন বিশ্লেষকরা। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথও পরিষ্কার হয়নি বলে মন্তব্য তাদের।

নির্বাচন বিশ্লেষক ড. আব্দুল আলীম বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। এখানে সরকার বা কোনো রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দলগুলো দাবি করতে পারে, আমরা এটা চাই বা এটা চাই না।

সুশানের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ইভিএম বাদ দেয়ায় আমাদের বিতর্কের একটা বিষয়ের অবসান ঘটেছে। এতে রাজনৈতিক দূরত্ব কমেছে বলে আমি মনে করি না। আর এর মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটাও নিশ্চিত করে বলা যায় না।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকার এখন রাজনৈতিক ঐক্যের প্রধান অন্তরায়। সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা না পেলে গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখা কঠিন।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের যে অভিজ্ঞতা, ১১টি নির্বাচনের মধ্যে ৭টি নির্বাচন হয়েছে দলীয় সরকারের অধীনে। আর এগুলো নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। নির্দলীয় তত্ত্বধায়ক সরকারের অধীনে ৪টি নির্বাচন হয়েছে। এগুলো গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। পরবর্তী নির্বাচন যদি আমরা সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক করতে চাই, তাহলে আমাদের আরেকটা রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো দরকার।

ড. আব্দুল আলীম বলেন, সবার আগে যে জিনিসটা লাগবে, সেটা হলো রাজনৈতিক সমঝোতা। অর্থাৎ বাংলাদেশে যতগুলো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে, সবার মধ্যে একটা সমঝোতা থাকতে হবে।

বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৯ জানুয়ারি। এর আগের নব্বই দিনের মধ্যে ভোটের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply