চট্টগ্রাম ব্যুরো:
শিশু হত্যা ও নিপীড়ন বাড়ছে চট্টগ্রামে। কদিন আগেই ৮ বছর বয়সী আয়নীকে ধর্ষনের পর হত্যার ঘটনা কাঁদিয়েছে সবাইকে। এ নিয়ে গত ৫ মাসে প্রাণ গেছে ৪ শিশুর। একের পর এক এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।
গত ২১ মার্চ বন্দরনগরীর পাহাড়তলী থেকে ৮ বছর বয়সী শিশু আবিদা সুলতানা আয়নী নিখোঁজের পর তার মা থানায় গেলেও গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। পুলিশের সোর্স রুবেল এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানানোর পর তাকে থানায় ডেকে নিয়েও ছেড়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ।
নিহত আয়নীর মা জানান, ওরা ওকে একবার ডেকে নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। ওদের দাবি, রুবেল এসব কাজ করতেই পারে না, সে নাকি অনেক ভালো।
নিখোঁজের ৮ দিন পর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আয়নীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দিও দেয় ঘাতক রুবেল। অথচ ৮ দিন আগে পুলিশ সব জেনেও কেনো উদ্ধার অভিযানে নামেনি, ঘাতককে কেনো ছেড়ে দিলো?
এমন প্রশ্নের জবাবে পাহাড়তলী থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোনো প্রমাণ না পাওয়ার কারণে আমরা তাকে তার মায়ের অধীনে ছেড়ে দিয়েছিলাম। যাদের বিরুদ্ধে কাজে অবহেলার অভিযোগ আছে, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, এভাবে চট্টগ্রামে গত ৫ মাসে খুন হওয়া ৪ শিশুর ৩ জনই ধর্ষণের শিকার। এতে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরাও। এদিকে শিশু নির্যাতন বৃদ্ধির জন্য সামাজিক অবক্ষয়কে দুষছেন বিশ্লেষকরা। অভিভাবকদের অভিযোগ, আমাদের প্রায় সবারই এরকম বাচ্চাকাচ্চা আছে। তাই এসব দেখলে মনটা খারাপ হয়ে যায়। এটা অবশ্যই চিন্তিত হওয়ার মতো বিষয়।
বিশিষ্ট আইনজীবী ও অপরাধ বিশ্লেষক আখতার কবির চৌধুরী বলেন, বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করা, ভাবা ও প্রতিরোধ করার সময় এসেছে।
প্রসঙ্গত, ২৫ নভেম্বর বন্দরটিলায় পাওয়া যায় ৫ বছরের শিশু আয়াতের খণ্ডিত মরদেহ।
/এসএইচ
Leave a reply