যশোরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন কারখানায় তৈরি হচ্ছে কৃষি যন্ত্রপাতি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ। উৎপাদন হচ্ছে কলকারখানার বিভিন্ন মেশিনের যন্ত্রাংশও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিদেশ থেকে এসব পার্টস এখন আর আমদানি করতে হয় না। হালকা প্রকৌশল শিল্পকে আরও এগিয়ে নিতে সহায়ক কর কাঠামোর দাবি তাদের।
কারখানায় শ্রমিকদের কেউ কেউ ব্যস্ত পুরনো লোহা গলানোর কাজে। গলানো লোহা পরবর্তীতে সাঁচে ফেলে তৈরি করা হয় নানান যন্ত্রাংশ। যশোরে হালকা প্রকৌশল শিল্পের সুনাম দেশজুড়ে। বিসিক শিল্পনগরী ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে রয়েছে শতাধিক ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ। গাড়ি ও মোটরসাইকেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি হয় এসব কারখানায়।
স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হওয়ায়, এসব যন্ত্রপাতির দাম তুলনামূলক কম। এছাড়া চাহিদা মতো তৈরি করে নেয়ার সুযোগও রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, হালকা প্রকৌশল শিল্পের বিকাশের কারণে অনেক পণ্য এখন আর আমদানি করতে হয় না।
যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, যারা কৃষি যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি তৈরিতে নিয়োজিত আছেন, তাদের জন্য বিনা শুল্কে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ দেয়ার জন্য জোর আবেদন জানাচ্ছি। স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বিদেশে রফতানির ওপরও জোর দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এটিএম/
Leave a reply