Site icon Jamuna Television

অস্তিত্ব সংকটে বাংলাদেশের তিস্তা

উজান থেকে প্রতিবেশী দেশের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে অস্তিত্ব সংকটে তিস্তা নদী। বর্ষায় অতিরিক্ত প্রবাহ আর শুস্ক মৌসুমে ধুধু বালুচর, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে অববাহিকার দুই কোটি মানুষের জীবনে। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে জীববৈচিত্র এবং প্রাণ-পরিবেশ-প্রকৃতি।

উত্তরের জীবন রেখা তিস্তার রুদ্রমূতি জাগে প্রতি বর্ষা মৌসুমে। ছয় মাস ভাঙন, বন্যায় অবর্ণনীয় দুর্দশায় ভোগে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। বাকি সময় দেখা যায় উল্টো চিত্র। উজানে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় উত্তরের এই লাইফলাইন ভাটি এখন মরুকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতি বছর ২০ হাজার মানুষকে উদ্বাস্তু হতে হচ্ছে তিস্তার ভাঙনের ফলে। আশঙ্কাজনক হারে নামছে পানির স্তর। এ নিয়ে তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাফিয়ার রহমান বলেন, উত্তরাঞ্চলে পানির স্তর কমে যাচ্ছে। আর এর ফলে তিস্তার সাথে যাথে জীবন-জীবিকা জড়িত, তারা পড়ছেন ভয়াবহ দুর্ভোগের মুখে।

দুই দেশের অভিন্ন এই নদীর পানি বন্টনে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু ইন্ধিরা গান্ধির সাথে যে চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিলেন, ২০১১ সালে হাসিনা-মোদি বৈঠকের পর সেই চুক্তির সবকিছু ঠিক হয়ে আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনাগ্রহের কারণে সেই চুক্তি এগোয়নি বেশিদূর। এখন উল্টো নতুন খাল খনন করছে এ রাজ্য। লংমার্চ, মানববন্ধন, কনভেনশন, নৌকা সমাবেশ, বিক্ষোভ কোন আন্দোলনেই মিলছে না সমাধান।

এ নিয়ে নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, তিস্তা এখন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে দাবার গুটিতে পরিণত হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আর জনগণ চাইলেও প্রাদেশিক সরকারের রাজনৈতিক চালের কারণেই আজ তিস্তা নদীর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

এসজেড/

Exit mobile version