মেহেদী রিয়ান:
দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা অপেক্ষার পর জুয়ান পোলকান দেখা পেয়েছেন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির। শুধু দেখাই করেননি, তিনি ঢুকেছেন মেসির বাসায় এবং তার দেয়া অটোগ্রাফ শরীরে ট্যাটুও করিয়েছেন। যুক্তরাস্ট্রের অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ইনফোবে’ জানিয়েছে এই খবর।
জুয়ান পোলকানের এই পরিকল্পনাটি কয়েক মাসের। ফুটবল জাদুকর মেসির সাথে দেখা করার পণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু মেসির বাসা খুঁজে বের করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাকে। হেয়ার ড্রেসারের কাছে ঠিকানা পেয়েই তাই সকাল সকাল বের হয়ে যান তিনি মেসির বাসার উদ্দেশ্যে। এই মেসি ভক্ত বলেন, যাওয়ার আগে সবকিছু ঠিকঠাক মতোই হয়েছে। মেসির বাসার ঠিকানাটা ইন্টারনেটে অনেক খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। শেষ পর্যন্ত একজন হেয়ারড্রেসারের কাছে ঠিকানাটা পেয়েছি। সে আমাকে ঠিকমতো জায়গাটা দেখায়নি। তবে বাসাটা কোথায় তা বুঝিয়ে দিয়েছে। যখন তার বাসার সামনে পৌঁছাই তখন সকাল ৮টা। বাসাটা খুঁজে পেতে ৪৫ মিনিটের বেশি লাগেনি।
সেখানে গিয়েও তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। মেসির বাসার সামনে অপেক্ষা করার স্মৃতিময় মুহূর্তগুলো নিয়েও কথা বলেছেন পোলকান। তিনি বলেন, অপেক্ষা করেছি ভালোবাসা থেকে। তার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছেটা মনের ভেতর পুষে রেখেছিলাম। মেসির বাসার সামনে অপেক্ষার সময় লোকজন আমার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জার্সি দেখে ভেবেছে, মেসির সঙ্গে হয়তো কোনো সংযোগ আছে। সকাল ৯টা পর্যন্ত বসে থাকার পর তাকে অনুশীলনে যেতে দেখি।
অনুশীলন থেকে তখন বাসায় ঢুকছিলেন মেসি। তখনও এই ফুটবল মহাতারকার চোখে পড়েননি পোলকান। কোনো রকম পাগলামো না করে ধৈর্য ধরে ছিলেন তিনি। তখন প্রায় ১০ ঘণ্টা হতে চললো। ধৈর্যের ফল সুমিষ্ট হয় আর, পোলকানের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। পোলকানের ধৈর্য দেখে শেষ পর্যন্ত লিওনেল মেসি–আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো দম্পত্তির ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে। অবশেষে দেখা মিলেছে মেসির। মেসির সাথে দেখা হওয়ার মুহূর্তটিও বর্ণনা করেছেন এই ভক্ত।
জুয়ান পোলকান বলেন, বাসায় ঢোকার পর প্রথমে চোখে পড়েছে যে দৃশ্যটি, মেসি শর্টস ও স্যান্ডেল পরে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে হ্যালো বলেছে। অবিশ্বাস্য মুহূর্ত! তাকে বলেছি কতটা ভালোবাসি। একসঙ্গে ছবি তুলেছি। আমার ফুটসাল ক্লাবের জার্সিতে তিনি অটোগ্রাফও দিয়েছেন। আমাকে বুকে টেনে নিয়েছেন এবং হাতের বাহুতে অটোগ্রাফও দিয়েছেন। তখন আমার হাত কাঁপছিল, এমন আগে কখনও অনুভব করিনি। অটোগ্রাফটি হাতে ঠিকমতো দিতে মেসিই আমাকে শান্ত করেন।
বাসা থেকে বের হওয়ার পরই পোলকান তার হাতে মেসির দেয়া অটোগ্রাফটি চিরস্থায়ী ট্যাটুতে রূপ দেন। আর্জেন্টাইন মহাতারকার সামনে স্বাভাবিকভাবেই ফ্যানবয় হয়ে গিয়েছিলেন পুলকান। তাই এলএমটেনকে উদ্দেশে বলেছেন, লিও তোমাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি সবাইকে জানাতে চাই মেসি কেমন, কতটা সরল, কতটা আন্তরিক।
/এম ই
Leave a reply