নিউইয়র্কে নিয়োগ বাস্তবের ‘হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’, ইঁদুর তাড়াতে বেতন ১ লাখ ৭০ হাজার ডলার

|

গল্পের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা’র মতোই বাস্তবের ‘র‍্যাট জার’ খুঁজে পেলো নিউইয়র্ক। বুধবার (১২ এপ্রিল) বিশেষ পদটিতে ক্যাথলিন কোররাডি নামে এক ব্যাক্তির নাম ঘোষণা করা হয়। ইঁদুর বাহিনীকে শহর থেকে বিদায় করতে বাৎসরিক তিনি পাবেন ১ লাখ ৭০ হাজার ডলার। খবর সংবাদ সংস্থা এপির।

মূলত নিউইয়র্কে সম্প্রতি ইঁদুরের উৎপাত বেড়েছে ব্যাপক হারে। এদের সংখ্যা এতোটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, ঝোপঝাড় কিংবা ডাস্টবিনের পরিবর্তে এরা এখন ঘুরে বেড়ায় প্রকাশ্যেই। তাই বাধ্য হয়েই একবছর আগে ইঁদুর নিধনে দক্ষ একজন কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেয় প্রশাসন। তাতে সাড়া দেন সরকারের শিক্ষা বিভাগের এক সাদামাটা কর্মী।

এনিয়ে নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস বলেন, অবশেষে, র‍্যাট জারকে খুঁজে পেয়েছি আমরা। ক্যাথলিন নিজ কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান। নিউইয়র্কে পরিবার-সন্তান নিয়ে বসবাস করা খুবই ব্যয়সাধ্য। সেখানে ইঁদুর হয়ে দাঁড়িয়েছে একটা উটকো ঝামেলা। এমনও অভিযোগ এসেছে, শিশুদের পা কামড়ে দিচ্ছে প্রাণীগুলো। কারো হয়তো নষ্ট করছে দামি বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। আর তাই শহর থেকে ইঁদুরগুলো দমন করা অত্যন্ত আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইঁদুর নিধনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাথলিন কোররাডি বলেন, জীবনমান উন্নয়নে ইঁদুর প্রশমন খুবই জরুরি। ইঁদুরের উপদ্রবের ওপর কোনো লোকালয়ের পয়ঃনিষ্কাষণ, স্বাস্থ্য, আবাসন এবং অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ভরশীল। সমস্যাটির সমাধানে প্রয়োজন দৃঢ় নেতৃত্ব এবং একদল নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। প্রযুক্তি নির্ভর সাফাইয়ের ওপর আমরা গুরুত্ব দেবো। ইঁদুর মারার পাশাপাশি ধ্বংস করা হবে প্রাণীটির আবাসস্থল। শুধু বিষ প্রয়োগ বা ফাঁদে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। বাড়াতে হবে পরিচ্ছন্নতা।

২০১৪ সালের হিসাব অনুসারে, নিউইয়র্কে ওই সময় ছিল ২০ লাখের বেশি ইঁদুর। ৯ বছরের ব্যবধানে যা কয়েকগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। করোনা মহামারি মোকাবেলায় লকডাউন থাকায় খাবারের খোঁজে গোপন আস্তানা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে প্রাণীগুলো। তাই সেই ভয় কাটিয়ে এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply