বাংলা নববর্ষ: পুরাতন গ্লানি দূর করে নতুন দিনের আগমন

|

ফারহানা ন্যান্সি:

পুরাতন গ্লানি দূর করে নতুনের আবাহন; এলো বাংলা নববর্ষ। যাদের নিত্য জীবনের সাথে বৈশাখের ভালোবাসা জড়িয়ে আছে, তাদের কাছে কিভাবে ধরা দেয় বৈশাখ? সময়ের সাথে পাল্টেছে বৈশাখের মেজাজ আর তারে বরণ করার ধরনও।

চৈত্রের শেষ। রুদ্র আবহে, তপ্ত মেজাজে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে বৈশাখীর আগমন। গায়ের পথে গ্রামের মানুষের কাছে সে বার্তা পৌঁছে অতি খুব সাধারণ নিয়মে। ফসলের সাথে অকৃত্রিম যোগাযোগ আর চিরায়ত গ্রামীণ আবহে আমন্ত্রণ জানায়। প্রকৃতির চরিত্রে নানা পরিবর্তন আপন মায়ায় নিজের করে নেয় গ্রামবাসী।

গ্রামের পথে ফেরিওয়ালার ‘লেইস ফিতা’ ডাক আর শিশুদের বৈশাখী প্রসাধনীর বিকি-কিনি জানিয়ে দেয় মেলার দিন বৈশাখ।

পুরনো সে-দিন এখন আর নেই। বদলে গেছে বর্ষবরণের মেজাজ ও মর্জি। শহুরে দেখানো আয়োজনের জৌলুস না থাকলেও প্রকৃতির সাথে ঠিক ঠিক তাদের কথা হতো এখানে হতো উদযাপন।

গ্রামের সাধারণ মানুষরা জানান, আগে ছেলেমেয়েরা শাড়ি-পাঞ্জাবি পরতো। আনন্দ করে ঘুরে বেড়াতো। এখন আর এসব গ্রামে চোখে পড়ে না।

বৈশাখের আগমন নিয়ে এক কৃষক বলেন, পহেলা বৈশাখ আমরা অনুভব করতে পারি ঝড়-বৃষ্টির মাধ্যমে। এ সময় আমরা অপেক্ষা করি ফসল ফলানোর জন্য। কিন্তু আবহাওয়া তো আগের মত আর নাই।

সহজ সরল ভাষায় আরেক কৃষক বলেন, এ সময় তরমুজসহ বিভিন্ন ধরনের ফল পাওয়া যায়। আমরা শখের বসে বাজার থেকে বড় দেখে তরমুজ কিনে পরিবারের সবাই মিলে খাই। এভাবেই পয়লা বৈশাখ উদযাপন করি।

পুরনো যাক ধুয়ে, নতুন আসুক মহাসমারোহে সাথে নিয়ে দিগন্ত জোড়া সম্ভাবনা, এমন ব্যক্ত বা অব্যক্ত প্রত্যাশা সব বাঙালিরই।

এএআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply