যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র মানেই তাদের ক্রিতদাস নয়, তাইওয়ান ইস্যুতে ম্যাঁকরনের মন্তব্যে শোরগোল

|

তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার উত্তেজনার মধ্যেই এক মন্তব্যের জেরে এখন আলোচনায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়্যেল ম্যাঁকরন। সম্প্রতি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মতাদর্শের প্রতি সমর্থন দেয়ার প্রসঙ্গে ম্যাঁকরন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র বলেই কোনো বিবেচনা ছাড়াই মার্কিন নীতি মেনে নেয়া যাবে না। তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ইউরোপের নাক না গলানোই ভালো। তার এ মন্তব্যের পরই শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা। খবর ডয়েচে ভেলের।

গত রোববার একটি সাক্ষাৎকারে ম্যাঁকরন বলেন, তাইওয়ান নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে ইউরোপের না জড়ানোই ভালো। যুক্তরাষ্ট্র যা বলছে সেটিই মেনে নেয়া অবিবেচকের কাজ হবে। এ মন্তব্য নিয়ে পরে বুধবার ফের কথা বলেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট। তবে সেখানেও নিজের অবস্থানে অটল ছিলেন তিনি। ম্যাঁকরন বলেন, মিত্র হওয়া মানেই কোনো দেশের ক্রিতদাস বা নিজের ভাবনা-চিন্তার ক্ষমতা লোপ পাবে, সেটা কাম্য নয় মোটেই। ইউরোপেরও সেটা মাথায় রাখা উচিত।

ম্যাঁকরনের এ মন্তব্যে নিয়ে বিশেষ কোনো প্রতিবাদ দেখা যায়নি চীনের পক্ষ থেকে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ম্যাঁকরন এক সময় আমার বন্ধু ছিল। এখন তিনি চীনের প্রতি দুর্বল হয়েছেন। তার এ কথায় অবশ্য কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

ম্যাঁকরন বলছেন, তার এই মন্তব্যে তাইওয়ানের সঙ্গে ফ্রান্স তথা সমগ্র ইউরোপের সম্পর্কে কোনো আঁচ পড়েনি। তবে তাইওয়ানের বর্তমান স্বাধীন অবস্থারই পক্ষে রয়েছে ফ্রান্স। চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে যে সমস্যা, তার শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতিও সমর্থন রয়েছে দেশটির।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply