রঞ্জন শান্ত:
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। বাফুফের সিদ্ধান্তগুলোর বাস্তবায়নকারী হিসেবে প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে থাকা এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের প্রমাণ। তবে যেসব সিদ্ধান্তের কারণে ঘটেছে এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম, সেগুলো কি বাফুফের সাধারণ সম্পাদক একাই নিয়েছিলেন? তা যদি না হয়, তবে এই নিষেধাজ্ঞার ঘটনাতেই হয়তো সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত হচ্ছে না বাফুফে। তবে কি বলির পাঁঠা হলেন সোহাগ?
ফিফার ওয়েবসাইটে দেয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার কথা। ফিফা জানিয়েছে, বাফুফের দেয়া ফিফার টাকার হিসেবে মিথ্যা তথ্য দেয়ার প্রমাণ মিলেছে। গোঁজামিল খুঁজে পেয়েছে সংস্থাটি। তাই এসেছে এই শাস্তি । এরইমধ্যে শাস্তির বিষয়টি জানিয়ে আবু নাঈমকে চিঠিও পাঠিয়েছে ফিফা। চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে বাফুফে ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে (এএফসি)।
ফিফার স্বাধীন এথিক্স বা নৈতিকতা বিষয়ক কমিটির অ্যাজুডিকেটরি চেম্বারের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোহাগ ২০২০ সালের ফিফা এথিকস কোডের ধারা ১৫, ১৩ ও ২৪ লঙ্ঘন করেছেন। জালিয়াতি ও মিথ্যাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। সোহাগকে এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে ফুটবলের এই সর্বোচ্চ সংস্থা। এছাড়া ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছে সোহাগকে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১২ লাখ টাকা।
এর আগে ফিফার সদর দফতর জুরিখে ডাকা হয়েছিল আবু নাঈম সোহাগকে। তখন থেকেই ধারণা করা হয়েছিল, সোহাগের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ জেমি ডে’র বকেয়া বেতন ইস্যু থেকেই ফিফা কঠোর অবস্থান নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মূলত বাফুফের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। আর প্রধান নিবার্হী হিসেবে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হয় আবু নাইম সোহাগকে। অনুমিতভাবেই তাই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি বলির পাঁঠা হলেন সোহাগ?
/এম ই
Leave a reply