সাভার প্রতিনিধি
আশুলিয়ার নয়ারহাটে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (নিটার) এক শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে আশুলিয়ার থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুন হোসেনকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। শনিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে তাকে আশুলিয়ার থানা থেকে প্রত্যাহার করে ঢাকা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল এ খবর নিশ্চিত করেন।
ভোক্তভুগি নোমান বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আমি আমার ল্যাপটপ বিক্রির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিই। বিজ্ঞাপন দেখে আমাকে মামুন হোসেন নামে একজন ফোন দিয়ে ল্যাপটপ কেনার আগ্রহের কথা জানান। পরে মামুনের কথা মতো আমি কোহিনুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাই। এর কিছুক্ষণ পর ৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে মাইক্রেবাসযোগে সেখানে আসেন মামুন। এরপর মামুনসহ অন্যরা আমাকে ছাত্রশিবিরের কর্মী ও জঙ্গি বলে ভয় দেখান এবং আমার ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এসময় আমার ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে আমার বন্ধু ও সহপাঠীরা ছুটে আসেন।’
তিনি আরও বলেন, আমার বন্ধু ও সহপাঠীরা ঘটনাস্থলে এলে অস্ত্র বের করে মামুন নিজেকে পুলিশ সদস্য ও বাকিদের তার সোর্স পরিচয় দিয়ে দুই জনকে নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান। এসময় আমার সহপাঠীরা রাজ্জাক খান নামে এক সোর্সকে আটক করে।
এরও অনেক পরে খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজ্জাক খানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ওসি আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় পৃথক দু’টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আশুলিয়া থানায়। এরপর এএসআই মামুনকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।’
Leave a reply