রাষ্ট্রবিরোধী কাজ, দেশের জন্য লজ্জার; সোহাগ কাণ্ডে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া

|

তাহমিদ অমিত:

ফিফা থেকে আবু নাইম সোহাগের উপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞাকে দেশের জন্য লজ্জা ও অসম্মানের বলেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে তার আরও শাস্তি হওয়া উচিত বলে মনে করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এই শাস্তির মধ্য দিয়ে ফুটবল ফেডারেশনকে নিয়ে ওঠা নানা অপকর্মের অভিযোগের সত্যতা মিলবে বলেও মনে করেন জাহিদ আহসান রাসেল। ফিফার সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে চান তিনি।

নারী দলের মিয়ানমার সফর বাতিল নিয়ে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাথে টানাপোড়েন প্রকাশ্যে আসে বাফুফের। নাখোশ সংসদীয় কমিটি পরামর্শ দেয় অধিকতর তদন্তের। এমনকি সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে পদত্যাগ করতেও নাকি বলা হয়। এবার সেই সোহাগের ফিফা থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা যেন মুখ খুলে দিয়েছে সবার।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা এই ফেডারেশনগুলোতে চলছে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদকের দুই বছরের নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তা প্রমাণিত হলো। এর মধ্য দিয়ে তারা আমাদের লজ্জার মাঝে ফেললেন। আমি মনে করি, দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ কর্মকাণ্ড করেছেন তারা।

ফিফা তার ৫১ পৃষ্ঠার রায়ে জানিয়ে দিয়েছে কী কী অনিয়ম বাস্তবায়ন করেছেন সোহাগ। সে কারণে শুধু ফিফা নয়, বৃহত্তর পদক্ষেপ নেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে খোদ ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, যদি এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ আমাদের থাকে তাহলে অবশ্যই তা নেয়া হবে। আমরা চাই না একজন জেনারেল সেক্রেটারির কারণে আমাদের পুরো ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হোক। যেহেতু সাধারণ সম্পাদকের উপর নিষেধাজ্ঞা এসেছে, আমরা তাকে দোষী সাব্যস্ত করছি। এ ব্যাপারে অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে তার বিচার হওয়া উচিত।

নির্বাচিত কমিটির বিপক্ষে সহজেই হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই সরকারের। ফিফার সেই বাস্তবতা জানেন বলেই সতর্ক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ব্যক্তির উপরে যে নিষেধাজ্ঞা এসেছে, তা যেন কোনোভাবেই দেশের পুরো ফুটবলের উপর না আসে, সে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘সাবেক’ হয়ে গেলেন সোহাগ! নেই কক্ষের নেমপ্লেট

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply