নোয়াখালীতে আলোচিত অদিতা হত্যাকাণ্ডে গৃহ শিক্ষককে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

|

চার্জশিট হস্তান্তর করছেন মামলার প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা।

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর মাইজদীতে নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা (১৪) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে (৩২) একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা। ঘটনার সাত মাসের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের আলামত, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট ও আসামির ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তির কাগজপত্রসহ অভিযোগপত্রটি দাখিল করা হয়। সেই সাথে মামলা থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে এ মামলায় গ্রেফতারকৃতমো. ইস্রাফিলকে (১৪)।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ও সুধারাম মডেল থানার এসআই স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ্ আলমের কাছে চুড়ান্ত অভিযোগপত্রটি হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা স্পেসল্যাব চৌধুরী প্রমোজ বলেন, ডিএনএ টেস্টে মামলার একমাত্র অভিযুক্ত আসামি আবদুর রহিম রনির জামায় অদিতার রক্ত পাওয়া গেছে। স্কুলছাত্রী অদিতাকে ধর্ষণের চেষ্টার পর গলা কেটে হত্যা করেছিলো তারই সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক রনি। আদালতে রনির দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মাইজদী পৌর এলাকার মিস্ত্রী বাড়ির পুকুর থেকে অদিতাদের ঘরে লাগানো তালার চাবি উদ্ধার করা হয়। যে বালিশ দিয়ে তাকে চাপা দেয়া হয়েছিলো সে বালিশটিও উদ্ধার করা হয়েছে। ধস্তাাধস্তির আঘাতের দাগও পাওয়া গেছে রনির মাথায় । এ মামলায় ৩১ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহ্ আলম বলেন, নিহত স্কুলছাত্রীর প্রাইভেট শিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আগামী ৭ মে অভিযোগপত্রটি ১নং আমলি আদালতের বিচারক মোসলেউদ্দিন মিজান এর আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার নিজ বাসায় খুন হন নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী তাসনিয়া হোসেন অদিতা। ওই রাতে জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষ থেকে অর্ধনগ্ন, গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় বিছানায় অদিতার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে রনি ঘরে থাকা ছোরা দিয়ে অদিতার হাত ও গলা কেটে রেখেছিল বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে ঘরের আলমিরাতে থাকা মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা ছিল। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তাৎক্ষনিক অদিতার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষক আবদুর রহিম রনিসহ তিন জনকে আটক করে। এ ঘটনার পরেরদিন নিহত অদিতার মা বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর ২৪ সেপ্টেম্বর আবদুর রহিম রনি হত্যার দায় স্বীকার করে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. এমদাদ আলীর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply