কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রায় সব ট্রেনই ছেড়ে যাচ্ছে সময়মতো। তবে চট্টগ্রামগামী একটি ট্রেন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বেশ খানিকটা বিলম্বে ছেড়ে যায়। যাত্রীরাও বেশ খুশি এমন নির্ঝঞ্ঝাট আনন্দযাত্রায়। শেষ পর্যন্ত এমন অবস্থা বজায় থাকবে বলে প্রত্যাশা কর্মকর্তাদের।
সাধারণত ২৮ রোজায় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় ট্রেনে। নিরাপদ আর সহজে যাতায়াতের বাহন হিসেবে ঈদে দূরের যাত্রীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে রেল। কিন্তু এবার ভিন্ন চিত্র। অনেকটা আয়েশিভাবেই নিজ গন্তব্যে যেতে পারছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। এ নিয়ে বেজায় খুশি তারা।
এবার রেলে যাত্রী ভোগান্তি না হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে বলে জানান কর্মকর্তারা। বললেন, অনলাইনে শতভাগ টিকিট বিক্রি এর অন্যতম। আর এ কারণেই স্টেশনে প্রবেশের আগেই যাত্রীদের টিকিট তল্লাশিতে কড়াকড়ি। টিকিট ছাড়া কারোরই প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত পৌঁছা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিনা টিকিটের যাত্রীদের আমরা প্লাটফর্মে ঢুকতে দেইনি। এরফলে ছাদে ওঠা বন্ধ হয়েছে। যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে বাকি সময়টাও ভালো যাবে। কাল বা পরশু যখনই ঈদ হোক, আমরা এটা কন্টিনিউ করতে পারবো।
গেলো ক’দিনের রেলযাত্রায় খানিকটা ছেদ ধরিয়েছে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। চট্টগ্রামগামী এই ট্রেনটি সকাল সাতটায় যাওয়ার কথা থাকলেও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কমলাপুর ছেড়ে গেছে সাড়ে দশটায়। এই সাড়ে তিনঘণ্টার বিলম্বে বিরক্ত যাত্রীরা। তবে কর্মকর্তাদের আশ্বাস, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে এই বিলম্বের কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।
বৃহস্পতিবার তিন জোড়া বিশেষসহ মোট ৫৫ জোড়া ট্রেন চলবে সারাদেশে। এর মধ্যে ৩৭ জোড়া আন্তঃনগর।
এটিএম/
Leave a reply