তাওহীদ মিথুন:
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের। একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন সক্রিয় রাজনীতি করেছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগে। ২৫ বছরের পেশাগত জীবনে তিনি অবসর নেন জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে। জটিল সময়ে দায়িত্ব পালন করেন দুদক কমিশনারের। রাষ্ট্রীয় দায়িত্বের পর ফেরেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদে। অনেকটা চমক দেখিয়েই দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পাচ্ছেন।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের জন্ম ১৯৪৯ সালে। শৈশব-তারুণ্য কেটেছে পাবনায়। মাঠের রাজনীতিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের জেলা শাখার সভাপতি ছিলেন। ৭১ সালে জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। প্রত্যক্ষ অংশ নেন মহান মুক্তিযুদ্ধে।
তরুণ নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য হয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি ২০ আগস্ট গ্রেফতার হয়ে কারাবন্দি ছিলেন ৩ বছরের বেশি। ১৯৮২ সালে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বিসিএস বিচার বিভাগে যোগ দেন। জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি ১৯৯৫ সালে। দায়িত্ব পালন করেন জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে।
২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াতের হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় নিযুক্ত কো-অর্ডিনেটর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
২০১১ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার হিসেবে যোগ দেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। দায়িত্ব পালন করেন ২০১৬ সাল পর্যন্ত। পরে রাজনীতিতে ফিরে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। সেখান থেকেই তাকে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য চূড়ান্ত করে দল।
এরইমধ্যে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, দায়িত্ব নেয়ার পর তার প্রধান চ্যালেঞ্জ একটি অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশবাসীকে উপহার দেয়া।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবন থেকে বিদায় নিচ্ছেন ‘জনগণের রাষ্ট্রপতি’ আবদুল হামিদ
/এম ই
Leave a reply