প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবারও দুই বৃদ্ধের লড়াই, কী বলছেন মার্কিন তরুণরা?

|

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আবারও দুই বৃদ্ধের লড়াইয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা জমে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রে। প্রায় ৮১ বছর বয়সে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিরোধী রিপাবলিকান শিবিরেও মনোনয়ন লড়াইয়ে এগিয়ে ৭৬ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই দলেই এতো বেশি বয়সী প্রার্থী আর দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। অনেকেই যাকে মজা করে বলছেন, দুই বুড়োর লড়াই। খবর ডেইলি মেইলের।

মূলত, জো বাইডেনের দ্বিতীয় দফায় প্রার্থিতার ঘোষণা দেয়ার মাধ্যমেই শুরু হয়ে গেলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল লড়াই। বাইডেন নিজেই প্রার্থী হওয়ায় ডেমোক্রেট শিবিরে আর মনোনয়ন লড়াইয়ের দরকার হবে না। অন্যদিকে রিপাবলিকান শিবিরেও প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে আগামী বছরের নির্বাচনে ২০২০ এর পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা প্রবল। আবারও দুই বৃদ্ধের লড়াই দেখতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।

এ নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর অধ্যাপক উইলিয়াম হাওয়েল বলেন, এটা নিশ্চিত যে, ফ্রন্টরানার হিসেবে আমরা দুই বৃদ্ধকেই পাচ্ছি। তাদের বয়স এতটাই বেশি যে, মার্কিনীদের গড় বয়স তাদের বয়সের প্রায় অর্ধেক। যদি বাইডেন নির্বাচিত হন তাহলে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তুলনামূলক কম বয়সী কমলা হ্যারিস দায়িত্বের অনেকটাই সামলাবেন। তবে ট্রাম্পের ক্ষেত্রে কী হবে তা বলা কঠিন।

২০২৪ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় জো বাইডেনের বয়স হবে ৮২। অন্যদিকে ট্রাম্প পার করবেন ৭৭ এর ঘর। বয়স এই দুই প্রার্থীর দায়িত্ব পালনে বাধা হবে কিনা তা নিয়ে এখন থেকেই চলছে নানা আলোচনা। যদিও হোয়াইট হাউজ বলছে, পুরোপুরি সুস্থ্য আর সক্ষম রয়েছেন জো বাইডেন।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারিন জ্যাঁ পিয়েরে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এর আগেও বহুবার বলেছেন, তিনি তার দায়িত্ব শেষ করতে বদ্ধ পরিকর। আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার মাধ্যমেই তিনি তার দায়িত্ব শেষ করবেন। এ বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। আর চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন তিনি পুরোপুরি সুস্থ্য রয়েছেন, বয়স কোনো বাধা হবে না।

অবশ্য সাধারণ মার্কিনীদের অনেকেই বলছেন, বর্তমান প্রজন্মের ভোটারদের মনোভাব বুঝতে তুলনামূলক তরুণ প্রার্থী প্রয়োজন। অনেকের কাছে অবশ্য বয়স নয়, বরং নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতাই মুখ্য।

এ নিয়ে একজন তরুণ মার্কিন ভোটার বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বাইডেন কিংবা ট্রাম্প দুজনেরই অতিরিক্ত বয়স। তাদের বয়সের মানুষের পক্ষে তরুণদের চাহিদাটা বোঝাই সম্ভব নয়। আর তারা এই বয়সে দায়িত্বের চাপটাও নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।

অনেকে বলছেন, চাকরির তো একটা নির্দিষ্ট বয়স আছে, তাহলে রাজনীতির কেনো থাকবে না। আমার মনে হয়, একটা বয়সের পর আর প্রেসিডেন্ট পদে দাড়ানোর সুযোগ না থাকা ভালো।

দ্বিতীয় মেয়াদে বিজয়ী হলে সবচেয়ে বেশি বয়সী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের রেকর্ডই ভাঙবেন বাইডেন। নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বিরই এতো বেশি বয়স, যে এর আগে এমন কোনো এমন নজির নেই মার্কিন মুলুকে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply