লিভারপুল ৪-৩ টটেনহ্যাম: শেষের নাটকে পূর্ণতা পেলো না স্পার্সের ফিরে আসার গল্প

|

ছবি: সংগৃহীত

হতাশা ও অবিশ্বাসের যে অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছিল হ্যারি কেইনের মুখে, তাতেই যেন লেখা ছিল অ্যানফিল্ড থ্রিলারের চিত্রনাট্য। টটেনহ্যামের খেলোয়াড়রা তখন শুয়ে পড়েছেন মাঠে। হতাশ মুখভঙ্গিতেই পরিষ্কার হয়ে গেছে গত এক সপ্তাহে কী ঝড়টাই না গেছে স্পার্সের উপর দিয়ে! অ্যানফিল্ড থ্রিলারে যখন প্রত্যাবর্তনের অবিস্মরণীয় গল্প লেখা প্রায় শেষ, তখনই ডিয়োগো জটার গোলে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো সেই চিত্রনাট্য। উল্টো, ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুলই গলায় পরলো বিজয়মাল্য।

ছবি: সংগৃহীত

মহানাটকীয় এই রাতে ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই টটেনহ্যামের অনেক দর্শক ছেড়ে গেছেন স্টেডিয়াম। ১৫ মিনিটের মাথায় লিভারপুলের বিরুদ্ধে ৩ গোলে পিছিয়ে পড়ে তাদের মাথায় হয়তো এসেছিল গত ২৩ এপ্রিলের স্মৃতি; নিউক্যাসলের বিরুদ্ধে ১-৬ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার সেই দুঃস্মৃতিই হয়তো হানা দিয়ে থাকবে। কিন্তু স্টেডিয়াম ছেড়ে যাওয়া দর্শকরা মিস করেছেন আরও অনেক নাটক। কিন্তু দিনশেষে পরাজিতের খাতায়ই যে তাদের নাম উঠবে, সেটা টের পাওয়া যায়নি দ্বিতীয়ার্ধে। ইনজুরি টাইমে রিচার্লিসনের গোলে কেইন-সনদের উদ্বাহু উল্লাসে ছিল নিউক্যাসল বিভীষিকাকে পেছনে ফেলার ইঙ্গিত। কিন্তু এক মিনিট পরেই পাশার দান উল্টে দেন জটা। তখন উল্লাসে ব্যস্ত প্রতিপক্ষ শিবির। লিভারপুলের জয়ের আনন্দে তখন উন্মাতাল পুরো অ্যানফিল্ড।

ছবি: সংগৃহীত

খেলার ৫ মিনিটের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় লিভারপুল। কার্টিস জোন্স ও লুইস ডিয়াজের গোলে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়ে টটেনহ্যাম। ১৫ মিনিটে মোহামেদ সালাহ পেনাল্টি থেকে গোল করলে কোনঠাসা হয়ে পড়ে সফরকারীরা। ৩৯ মিনিটে দারুণ ভলিতে হ্যারি কেইন স্পার্সদের হয়ে শোধ করেন একটি গোল। বিরতির পর খেলার ৭৭ মিনিটে সন হিয়ুং-মিনের গোলে স্কোরলাইন হয় ৩-২। ইনজুরি টাইমে রিচার্লিসনের হেডারে অবিশ্বাস্যভাবে সমতায় ফেরে টটেনহ্যাম। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের জার্সি খোলা উদযাপনই হতে যাচ্ছে এই ম্যাচের হাইলাইটস, এমনটা কল্পনা করা দর্শকের সংখ্যা তখন অনেক বেশি।

ছবি: সংগৃহীত

তবে নাটকীয়তা তখনও জমিয়ে রেখেছিলেন দিয়োগো জটা। শেষ বাঁশির আগে টটেনহ্যামের লুকাস মউরার ভুলে এই পর্তুগীজের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিভারপুল। আর এই জয়ে আগামী মৌসুমে অন্তত ইউরোপা লিগে খেলার সম্ভাবনা আরও কিছুটা বাড়লো ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের।

ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, হতাশা ছাড়া অন্য কিছুই সঙ্গী হয়নি টটেনহ্যামের। স্পার্সের সাথে হ্যারি কেইনের চুক্তির মেয়াদ আছে আর মাত্র এক বছর। আরও একটি মৌসুম তার কেটে গেলো সাফল্য ছাড়াই। কেইন কি সামনেও থাকবেন হোয়াইট হার্ট লেনে? স্পার্স চেয়ারম্যান ড্যানিয়েল লেভি কি এখন আরও একজন ম্যানেজার খুঁজবেন?

আরও পড়ুন: হাল্যান্ডের নতুন রেকর্ড, ম্যানচেস্টার সিটির জয়

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply