চালের দামে ফিরলো স্বস্তি

|

রাজধানীতে আমন মৌসুমের নতুন চাল আসতে শুরু করেছে। দামেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে ভোক্তা পর্যায়ে। প্রায় দু’সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে অন্তত ২ টাকা। দোকানিরা বলছেন, নতুন চাল বাজারে পুরোপুরি আসলে দাম আরও কমবে। আর পাইকারদের অভিযোগ, ব্যাংক ঋণ নিয়ে ধান মজুদ করে দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা চলছে। এখন থেকেই নজরদারি বাড়ানো দরকার।

হাওর এলাকাসহ দেশের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে চলছে ধান ঘরে তোলার ধুম। এরই মধ্যে নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে দাম কমেছে। বিভিন্ন জাতের চালের দাম কেজিতে কমেছে অন্তত ২ টাকা। রাজধানীর বাজারেও বেড়েছে সরবরাহ। মিনিকেটের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা। ২৮-চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা দরে। আর নাজিরশাইলের জন্য গুনতে হচ্ছে ৭৫ টাকা।

পাইকার বলছেন, এবার গুটি স্বর্ণা আর পাইজাম চাল মিলবে কম। এই দু’জাতের দাম অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্তমানে ৫০ কেজি মিনিকেটের বস্তায় দাম কমেছে ৩০০ টাকা। আড়তদাররা বলছেন, মিলার যদি কারসাজি না করে তাহলে দাম আরও কমবে।


যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।

এ বিষয়ে এস এম রাইস এজেন্সির পাইকার মোহাম্মদ হাসান বলেন, মিলারদের সরকারের পক্ষ থেকে বড় লোন দেয়া হয়। এই লোন দেয়ার পরই চাল মজুদ করে ফেলে তারা। ফলে বাজারে চালের দাম তারা কমতে দেয় না। এই কারসাজি না থাকলে চালের দাম আরও কমতে পারে।

সিন্ডিকেট যাতে মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে, সেজন্যে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ ভোক্তাদের। নিয়মিত বাজার তদারকি বাড়ালে কারসাজির সুযোগ কমবে বলেও মনে করেন তারা।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply