ভিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীর এখন আর আইপিএল অধিনায়ক নন। তবে একজন আরেকজনের সাথে বিবাদে জড়ানোর বিষয়টি রয়ে গেছে অপরিবর্তিত। ১০ বছর আগে আরসিবির সাথে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচে বাদানুবাদে জড়িয়েছিলেন এই দুই তারকা। এখন বদলেছে তাদের ভূমিকা। গম্ভীর এখন আর খেলোয়াড় নন; কাজ করছেন লখনৌ সুপার জায়ান্টসের পরামর্শক হিসেবে। কোহলিও অধিনায়কত্ব ছেড়ে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটার হিসেবেই খেলছেন। গত রাতে (১ মে) লখনৌকে ১৮ রানে হারিয়েছে আরসিবি। আর সেই ম্যাচের শেষেই আবারও উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে কোহলি ও গম্ভীরের। সে প্রসঙ্গে বছর দশেক আগের ঘটনা টেনে আরসিবির ইউটিউব পেজে বলা হয়েছে, যা তুমি দিতে পারো, তা নিতেও হবে। আর না নিতে পারলে দিতে যেয়ো না। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর খবর।
ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়রা যখন হাত মেলাচ্ছিলেন, তখন এলএসজি (লখনৌ সুপার জায়ান্টস) বোলার নাভিন উল হক ও কোহলির মধ্যে কিছু বাক্য বিনিময় হতে দেখা যায়। এরপর কাইল মেয়ার্সের সাথেও কথা কাটাকাটি হয় কোহলির। গৌতম গম্ভীর তখন মারমুখি ভঙ্গিতে চোট আক্রান্ত অধিনায়ক কেএল রাহুলকে নিয়ে ছুটে আসেন। গম্ভীর ও কোহলি যখন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে, প্রথমে কোহলিকে দেখা যায় গম্ভীরের কাঁধে হাত রেখে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করতে। কিন্তু দ্রুতই সেই কথোপকথন রূপ নেয় বাদানুবাদে। বর্ষীয়ান স্পিনার অমিত মিশ্র তখ দুইজনের মাঝে দাঁড়িয়ে তাদের দুইদিকে ঠেলে দেন। এই ঘটনায় কোহলি ও গম্ভীর-দুইজনকেই জরিমানা করা হয়েছে ম্যাচ ফির পুরোটা। টুর্নামেন্টের আচরণবিধির ২.২১ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করায় এই শাস্তি পেয়েছেন তারা। অন্যদিকে, নাভিন উল হককে জরিমানা করা হয়েছে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ।
বোর্ডে মাত্র ১২৬ রান থাকলেও তা দারুণভাবে রক্ষা করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে আরসিবি। আর ফিল্ডিংয়ের পুরো সময়ই ভিরাট কোহলিকে দেখা গেছে দারুণ সপ্রতিভ। ক্রুনাল পান্ডিয়ার ক্যাচ ধরে দর্শকদের দিকে এগিয়ে চুপ করার ভঙ্গী করেন কোহলি। অনেকেই এর সাথে সাদৃশ্য খুঁজে পেতে পারেন ১০ বছর আগের এক ঘটনার। কেকেআর শেষ বলে আরসিবিকে হারানোর পর একইভাবে গ্যালারির দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন গম্ভীর। এবার হয়তো সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তিই করেছেন ভারতের ব্যাটিং মায়েস্ত্রো ভিরাট কোহলি। সেই সাথে, ম্যাচের ১৭তম ওভারেও নাভিন উল হকের সাথে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় কোহলির। সে দফা অমিত মিশ্র ও আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয় পরিস্থিতি শান্ত করতে।
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। এলএসজির অফিশিয়াল টুইটারে পোস্ট করা হয়, ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান, এভাবেই সাহসিকতার সাথে খেলতে হয়।’ এখানে আরসিবির ট্যাগলাইনকে কটাক্ষ করা হয়েছে বলেই অনেকের ধারণা। আর আরসিবির অফিশিয়াল হ্যান্ডেল থেকে দর্শকদের উদ্দেশে কোহলির সেই মুখভঙ্গির ছবি টুইট করে বলা হয়, যা দেয়া হয় তা ঘুরেফিরে আবারও আসে। আরসিবির ইউটিউব পেজ থেকে ড্রেসিংরুমে ভিরাট কোহলির একটি ক্যান্ডিড ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে বলা হয়, দুর্দান্ত জয়! মধুর জয়! যা তুমি দিতে পারো, তা নিতেও হবে। আর না নিতে পারলে দিতে যেয়ো না।
/এম ই
Leave a reply