বাংলাদেশের সাথে সামরিক ও নিরাপত্তা খাতে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় জাপান। দু’দেশের মধ্যে সাক্ষরিত নতুন স্কিমে ঢাকা জাপান থেকে সামরিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি কিনবে বলেও জানিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। আর, বাংলাদেশের ঘোষিত ইন্দোপ্যাসিফিক রূপরেখাকে টোকিও স্বাগত জানায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের সাথে এটির কোনো বিরোধ নেই।
বুধবার (৩ মে) রাজধানীর বারিধারায় জাপান দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর নিয়ে কথা বলতেই মূলত আয়োজন করা হয় এ প্রেস কনফারেন্স।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক জাপান সফরের মধ্য দিয়ে ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক এখন কৌশলগত পর্যায়ে। এ সফরে দুদেশের মধ্যে সই হয়েছে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা। দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা বাণিজ্য বিনিয়োগ ছাড়া শীর্ষ দুই নেতা কথা বলেছেন আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা ইস্যুতে।
টোকিও থেকে ফিরে জাপানি রাষ্ট্রদূত জানান, জাপানের উদ্যোগ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) নিয়ে সঠিক পথেই হাঁটছে ঢাকা। এটি চীনের উদ্যোগ বিআরআই’র সাথে সাংঘর্ষিক নয় বলেও মত তার।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, বাংলাদেশের আইপিএস আউটল্যুককে স্বাগত জানিয়েছে জাপান। জাপানের এ উদ্যোগ এ অঞ্চলের কানেকটিভিটি ও পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। চীনের বিআরআই নিয়ে আমি বিশেষ কিছু জানি না। তবে এর সাথে আইপিএসের কোনো দ্বন্দ্ব্য নেই।
জানান, অর্থনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি সামরিক ও নিরাপত্তা খাতে সম্পর্ক জোরদারে একমত হয়েছিলেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এর আওতায় সামরিক অস্ত্র কেনাবেচার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি আরও বলেন, নিরাপত্তা ও সামরিক খাতে আমরা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরও জোরালো করতে চাই। নতুন স্কিমের আওতায় মিলিটারি হার্ডওয়্যার ও অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয়সহ আরও অনেক কাজ করার সুযোগ আছে। এ নিয়ে আলোচনাও চলমান আছে।
এ সময়, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে নিয়ে গঠিত কোয়াড সামরিক জোট নয় বলে দাবি করেন এ কূটনীতিক। এর আগে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন তার পূর্বসূরী। নির্বাচন নিয়ে জাপানের মনোভাব জানতে চাইলে এটিকে এ দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
/এসএইচ
Leave a reply