অনুপ্রবেশ রুখতে মেক্সিকো সীমান্তে দেড় হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো কর্তৃপক্ষও। সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সীমান্ত কড়াকড়ি তুলে নেয়ার জেরে এ সংকট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
মেক্সিকো সীমান্তে জড়ো হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে বেশিরভাগই ভেনেজুয়েলাসহ দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। সীমান্তে খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসার অভাবে মানবেতর দিন পার করছেন তারা। সেই সাথে রয়েছে যেকোনো মুহূর্তে উচ্ছেদের আতঙ্কও।
এদিকে কোভিড-১৯ এর জেরে সীমান্তে আরোপ করা কড়াকড়ি তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর জেরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন মার্কিন প্রশাসন। অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে দেড় হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আগামী ১০ মে থেকে সীমান্তরক্ষীদের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করবেন অস্থায়ী ভিত্তিতে মোতায়েন করা এসব সেনারা।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
এ নিয়ে মার্কিন বিমান বাহিনীর প্রেস সচিব প্যাট্রিক রাইডার বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মেক্সিকো সীমান্তে অস্থায়ীভাবে দেড় হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিরক্ষা দফতর। আগামী ৯০ দিন সীমান্তের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে তারা। তবে সরাসরি আইন প্রয়োগ সংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নেবে না এসব সেনা সদস্য।
মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে আরও ১০ থেকে ১২ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে ভিড় করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জারি রয়েছে জরুরি অবস্থাও।
এসজেড/
Leave a reply