সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী বেড়েছে ক্লাসিক বা ভিনটেজ গাড়ির চাহিদা। নিলামে তুলে কিংবা ব্যক্তিগতভাবে বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামে। বিগত এক দশকে গাড়ির মূল্য বেড়েছে প্রায় ১৮৫ শতাংশ। তবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাঝেও ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে এসব পুরনো গাড়ি সংগ্রহে।
ওল্ড ইজ গোল্ড। প্রবাদটির প্রতিফলন দেখা গেলো ভিনটেজ গাড়ির ক্ষেত্রে। উচ্চ প্রযুক্তির গাড়ির ভিড়ে যখন প্রায় হারিয়ে যাচ্ছিল পুরনো মডেলের গাড়িগুলো; তখনই হঠাৎ হয়ে উঠেছে সোনার মতো দামি। শৌখিন গাড়িপ্রেমীদের কাছে পুরনো এসব যানই এখন বিলাস সামগ্রী।
রীতিমতো যুদ্ধ করে চড়া দামে কেনা হচ্ছে নিলামে। ১৯৬২ সালে ইঞ্জিনের শব্দের কারণে সে সময় ফেরারির ২৫০ জিটিও মডেল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল অনেকে। অথচ সেই একই মডেল ২০১৮ সালে বিক্রি হয় ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারে। যা পুরনো গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হওয়ার রেকর্ড। গত বছর অবশ্য সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় ১৯৫৫ সালের মার্সিডিজ বেঞ্জের একটি গাড়ি। বিক্রি হয় ১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলারে।
ক্লাসিক গাড়ির সংগ্রাহক ফ্লোরেইন জিমারমান বলেন, দিন দিন মানুষের পছন্দ পাল্টাচ্ছে। আগের তুলনায় লোকজন এখন অনেক বেশি শৌখিন। তাই নিলামের জন্য আমরাও এখন অনেক ক্লাসিক গাড়ি সংগ্রহ করি। এই শোরুমে প্রায় ৯০ বছর আগের গাড়িও পাবেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত নাইট ফ্রাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, বিলাসবহুল পণ্যের তালিকায় ক্লাসিক গাড়ি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ছাড়িয়ে গেছে দামি ঘড়ি, দুর্লভ চিত্রকর্ম আর বিরল পানীয়ের জনপ্রিয়তাকে।
তবে পুরনো মডেল হওয়ায় এগুলোর দেখভাল বেশ ব্যয়বহুল। কোনো অংশ নষ্ট হয়ে গেলে কঠিন হয়ে পড়ে মেরামত। তাই ব্যবহার না করে বরং ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে দুর্লভ সংগ্রহ হিসেবে রাখাই উচিৎ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএআর/
Leave a reply