প্রদ্যুৎ কুমার সরকার, মাদারীপুর
মাদারীপুরে চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তার প্রধান শিক্ষকের নির্যাতনে অপমানিত হয়ে বিষ পান করে ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। সাথীর মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও স্কুলের সহপাঠিরা প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী সাথী আক্তার (১৩) বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে পেয়ারপুর এলাকায় নানা বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতো। শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে আসার পর টিফিনের সময় প্রধান শিক্ষকের কাছে অন্য এক ছাত্রী তাকে গালি দিয়েছে বলে বিচার দেয় সাথী। এতে প্রধান শিক্ষক দুইজনকেই ডেকে এনে সবার সামনে শাসন করে এবং স্কেল দিয়ে মারধর করে। এতে সাথী খুব লজ্জা পেয়ে স্থানীয় এক দোকান থেকে ঘাস মারার একটি ঔষধ কিনে বাড়ী নিয়ে সন্ধ্যায় সেটা পান করে। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার করিয়ে একদিন পর বাড়ি নিয়ে আসে। এতে সে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যায়।
নিহত সাথী একই উপজেলার দুধখালী ইউনিয়নের পাতিলাদি গ্রামের মৃত ইকবাল বেপারীর মেয়ে। সাথীর মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
চরমুগরিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দুলাল সরকার বলেন, এ ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক মেয়েটির চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় বহন করছিল। মেয়েটির মৃত্যুর পর থেকে প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।
Leave a reply