নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার হরনি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড টাংকিরঘাট এলাকায় উত্তেজিত জনতা কর্তৃক অবরুদ্ধ থাকার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর নোয়াখালী জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপে রামগতি নিজ স্টেশনে ফিরে গেলেন রামগতি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী ও রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত ১০টার দিকে রামগতির উদ্দেশে রওনা করেন অবরুদ্ধ থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা। এর আগে নোয়াখালী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) বিজয়া সেন উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টির সমাধান করেন।
বিজয়া সেন জানান, টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্পটি রেঞ্জের অধীনে। ওই ক্যাম্প কখনও রামগতি বা লক্ষ্মীপুরের অধীনে ছিল না। এটা নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা ছিল। আজকের পর থেকে ওই এলাকায় রামগতি পুলিশের কোনো কার্যক্রম থাকবে না।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) সাইফুল আলম চৌধুরী ও রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্পে আসেন। পরে তারা ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ক্যাম্পের গোল ঘরে বসেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই গোল ঘরে আসেন স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাইন উদ্দিন, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবুল হোসেন সুজন ও টাংকির বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখওয়াত হোসেন। পরে পুলিশ গোল ঘর থেকে তাদের বের করে দিলে বিষয়টি বাজারে উপস্থিত লোকজনের নজরে আসে এবং তারা উত্তেজিত হয়ে ক্যাম্প ঘেরাও করে। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্থানীয় কয়েক হাজার লোকজন একত্রিত হয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে নোয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) বিজয়া সেন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
/এনএএস
Leave a reply