হাসান আল মারুফ:
জাতীয় দলের সাত নম্বর পজিশনে কে খেলবেন বিশ্বকাপে, সে নিয়ে চলছে আলোচনা। ডিপিএলে ফিনিশারের ভূমিকায় আশা জাগানো পারফর্ম করেছেন নুরুল হাসান সোহান ও মোসাদ্দেক হোসেন। এদিকে, এই পজিশনে আগে থেকেই বিবেচনায় আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইয়াসির রাব্বী। তবে, সোহান-মোসাদ্দেকদের নিয়ে আশাবাদি খালেদ মাহমুদ সুজন।
সাত নম্বর পজিশনে জাতীয় দলে যেনো এখন মহাসঙ্কট। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে এই পজিশনে কে থাকবেন? ইয়াসির রাব্বী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পাশাপাশি এখন সেই তালিকায় যোগ হয়েছে মোসাদ্দেক ও সোহানের নাম।
ডিপিএলের গেলো আসরের শেষ ম্যাচে ৮১ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে দলকে শিরোপা এনে দিয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহান। একই চিত্র ছিল এবারও। ফাইনালে আবারও আবাহনীকে পেয়েই চাপের মুখে খেললেন ৮৯ রানের অধিনায়োকচিত এক ইনিংস। যদিও আক্ষেপ ছিল টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিততে না পারার।
তবে, পুরো আসরে দলের হয়ে ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শেষ চার ম্যাচে করেছেন চার ফিফটি। টুর্নামেন্ট জুড়ে লোয়ার-মিডল অর্ডারে ১৪ ইনিংসে ৪৬ গড় আর ৯৪ স্ট্রাইক রেটে করেছেন পাঁচশোর বেশি রান।
মোসাদ্দেকের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমনই। আসরের বেশিরভাগটাই খেলেছেন ফিনিশারের ভূমিকায়। ১৩ ই্নিংসে প্রায় ৩৩ গড় আর ৯০ স্ট্রাইক রেটে নিজের ঝুলিতে পুরেছেন প্রায় চারশো রান।
লোয়ার-মিডল অর্ডারে টুর্নামেন্ট জুড়ে উজ্জ্বল সোহান-মোসাদ্দেককে নিয়ে আশাবাদী খালেদ মাহমুদ সুজনও।আবাহনী লিমিটেডের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, এরা কেউই আসলে হারিয়ে যায়নি। পজিশনও একটা মাত্র। এক্ষেত্রে হেলদি কম্পিটিশনের একটা ব্যাপার আছে। আমি বিশ্বাস করি ওরা সুযোগ পেলে ভাল করবে।
এ পজিশনেই এখন নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন মোসাদ্দেক। জানালেন, জাতীয় দলেও সুযোগ পেলে দেয়ার চেষ্টা করবেন সেরাটাই।
আবাহনীর অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, আমি নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করেই নিয়েছি যে আমাকে ছয় বা সাত নম্বরে খেলতে হবে। যেসব জায়গায় সমস্যা আছে প্রতিদিনই সেসব জায়গায় ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছি।
বিশ্বকাপে শেষ পর্যন্ত ফিনিশার হিসেবে কে টিকে যাবেন সেটা এখন সময়ই বলে দেবে।
/এসএইচ
Leave a reply