দেশে রিজার্ভ নিয়ে তেমন কোনো সঙ্কট নেই। তিন মাসের খাদ্য কেনার মতো ডলার যেন আমাদের হাতে থাকে, সেটা নিয়েই আমাদের চিন্তা। রিজার্ভ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সদ্য সমাপ্ত ১৫ দিনের সফর নিয়ে সোমবার (১৫ মে) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। বলেন, আমাদের রিজার্ভ এখনও যা আছে, তাতে অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমাদের এমন কোনো সংকট এভাবে নাই। তবে আমরা সবসময় রিজার্ভ ধরে রাখারই চেষ্টা করি।
ডলার সংকট নিয়ে এক প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন, যার ফলে আজ সারা বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। পরিবহন পরিচালন ব্যয় বেড়ে গেছে। যে কারণে ডলার সংকট এখন সমগ্র বিশ্বেই রয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনায় আমদানি-রফতানি, বিদেশে যাতায়াত বন্ধ থাকায় আমাদের খরচও কমেছিল। তখন ডলার খরচ হয়েছিল শুধু ভ্যাকসিন কিনতে। বাকিটা আমরা ভালোভাবে রিজার্ভ রাখতে পেরেছিলাম। তারপর যখন অর্থনীতি মুক্ত হলো ডলার খরচও বেড়ে গেল। তারচেয়েও বড় কথা আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আমাদের বিনিয়োগ বাড়ছে, উৎপাদন বাড়ছে, কাজেই ডলারের ওপর চাপ তো বাড়বেই।
ঢাকার নদী-খাল রক্ষায় সরকারের পদক্ষেপ ও কথিত নদীখেকোরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, নদীখেকো বলতে হলে তো আগে মিলিটারি ডিকটেটরদের কথা বলতে হয়। সেই আইয়ুব খান থেকে শুরু, এরপর জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং তারপরে খালেদা জিয়া। এরা যে যখনই এসেছে আমাদের নদীগুলোর সর্বনাশ করে দিয়েছে গেছে। গাছের সর্বনাশ করেছে, রাস্তার সর্বনাশ করেছে, সবই একে একে ধ্বংস করে গেছে। এটা হতো বাস্তব কথা। এরইমধ্যে তার সরকার বহু নদী ড্রেজিং করেছে এবং ড্রেজিংয়ের এ কাজ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের কোনো কিছুর ওপর যারা নিষেধাজ্ঞা দেবে তাদের কাছ থেকে কোনো কিছু কিনবে না বলেও আবারও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এখানে সম্পর্কের কিছু নেই, বাংলাদেশ কারও ওপর নির্ভরশীল নয়।
/এমএন

