ফেডারেশন কাপের ২য় সেমিফাইনালে শেখ রাসেল কেসিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠলো আবাহনী লিমিটেড। ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। অপর গোলটি করেছেন দানিয়েল কলিন্দ্রেস। ফলে ফাইনালে ৩০ মে কুমিল্লায় হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান-আবাহনীর ঢাকা ক্লাসিকোর লড়াই।
এই টুর্নামেন্টের গত ৩৩ আসরের মধ্যে ১৯টিতেই ফাইনালে খেলেছিল আবাহনী। যেখানে রেকর্ড ১২ বারের চ্যাম্পিয়ন ধানমন্ডির জায়ান্টরা।
যদিও ম্যাচের শুরুতেই দাপট ছিল শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের। ম্যাচের ৮ম মিনিটে ফাঁকা পোস্টে বল রাখতে পারেননি দলটির নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার এমফন উদোহ। মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বল আয়ত্ত্বে নিয়ে গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলকে বোকা বানালেও শট মারেন পোস্টের বাইরে।
ম্যাচের ১২ মিনিটে আবারও ডি বক্সে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন এমফন উদোহ। আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেলকে একা পেয়েও শট নেন তার গায়ে।
৩৬ মিনিটে আরও একবার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে শেখ রাসেল কেসি। ডি বক্সে আবাহনীর ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে ঢুকে পড়লেও এমফন উদোহ পোস্টে শট না রেখে ক্রস করে নষ্ট করে সুযোগ।
পরের মিনিটেই ম্যাচে লিড নেয় আবাহনী লিমিটেড। নিজেদের ডি বক্স থেকে রেজার লম্বা থ্রু বল নিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন দানিয়েল কলিন্দ্রেস। যেখানে শেখ রাসেল কেসি গোলরক্ষক আশরাফুল রানাকে ফাঁকি দিয়ে ২য় পোস্টে নেয়া তার শট জায়গা করে নেয় জালে। বিরতিতে আবাহনী যায় ১-০ গোলের লিড নিয়ে।
১ গোলের লিড নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে ব্যবধান বাড়াতে ভুল করেননি মারিও লামোসের শিষ্যরা। ম্যাচের ৫০ মিনিটে রাফায়েল আগুস্তোর ক্রস থেকে বক্সের ভেতর ফাঁকায় দাঁড়ানো ফয়সাল আহমেদ ফাহিম বল জালে জড়ালে ২-০’তে এগিয়ে যায় আবাহনী।
এরপর ম্যাচে ফেরার বেশ কয়েকটি চেষ্টা হাতছাড়া করে শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রের ফুটবলাররা। দিপক রায়ের শট টার্গেটে থাকলে ব্যবধান কমাতে পারতো শেখ রাসেল কেসি। ডি বক্সের বাইরে থেকে তার নেয়া জোড়ালো শট চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে।
এর কিছুক্ষণ পর শেখ রাসেলের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন ফয়সাল ফাহিম। ৭০ মিনিটে নিজের ২য় আর দলের ৩য় গোলটি করেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। বাঁ প্রান্ত থেকে তার নেয়া শট ফেরাতে গিয়ে জালে জড়িয়ে ফেলেন আশরাফুল রানা।
শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দলটি। ৯ম বারের মতো ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এর আগের ৮ বারের ফাইনালে লড়াইয়ে ৬ বারই ঐতিহ্যবাহী সাদা-কালোদের কাছে হেরেছিল আকাশী-নীলরা।
/এ এইচ/আরআইএম
Leave a reply