সিনিয়র করেসপডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে এক ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারকে আটক করে এক বছরের সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসাথে সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে এক প্রতিষ্ঠানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজে ব্যবহার করার অভিযোগে সেটি সিলগালা করে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে রোববার (২১ মে) দুপুর ২টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কনসালটেন্ট সনলোজিস্ট (এমবিবিএস) ডাক্তার মোস্তফা মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়।
পরে তার কাগজপত্র চ্যালেঞ্জ করলে এমবিবিএসের সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুশরাত আরা খানম তাকে এক বছরের বিনাশ্রম সাজা দেন। এ সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালারও নির্দেশ দেন তিনি।
ম্যাজিস্ট্রেট নুশরাত আরা খানম জানান, শহরের মধ্যে সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোনো কাগজপত্র যাচাই বাছাই ছাড়াই আলট্রাসনোগ্রাম বিভাগে একজন ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। আটককৃত মিজানুর রহমান নিজেকে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে স্বীকার করেন।
অভিযান শেষে ডাক্তার শহিদুল ইসলাম খান স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, সুপার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে আমরা একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা গোপনে তদন্ত করে জানতে পেরেছি, এখানে আলট্রাসনোগ্রাম বিভাগের যে ডাক্তার; তার এমবিবিএস সনদ নেই। তারপরও তিনি এমবিবিএস পরিচয়ে রোগীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন। ফলে আজকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে আটক সাজা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ফ্রিজে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ থাকা, ডাক্তার নিয়োগের কাগজপত্র না থাকা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতকে অসহযোগিতা করায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এএআর/
Leave a reply