স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:
রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা অভিযোগে মামলা হয়েছে। রোববার (২১ মে) বদরগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন ভুক্তভোগীর মা। তবে ইউপি সদস্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মামলা ও প্রাথমিক তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে বদরগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, ধর্ষণ চেষ্টা ওই মামলার আসামি লোহানি পাড়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য ইউনুস আলী। তিনি স্থানীয় বীরমুক্তিযোদ্ধা মমিন চৌধুরী অটিজম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুছ আলীর (৩৫)।
ওসি জানান, শনিবার (২০ মে) বিকেল তিনটায় মেয়েটির বাড়িতে যান ইউপি সদস্য ইউনুছ আলী। এ সময় মেয়েটির বাবা মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ইউনুছ আলী মেয়েটিকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে ইউপি সদস্য কৌশলে পালিয়ে যান। ইউনুছ আলী ও মেয়েটি একই গ্রামের বাসিন্দা। আমরা মামলা রিপোর্ট করেছি এবং ওই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতারের সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
ওই ছাত্রীর মা জানান, আমার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ঘটনার সময় স্বামী বাইরে কাজে ছিলেন। আর আমি ছিলাম বোনের বাড়িতে। মেয়েটি বাড়িতে একা ছিল। এই সুযোগে ইউপি সদস্য ইউনুছ আমার বাড়িতে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। আমি ওর (ইউপি সদস্য) কঠিন শাস্তি চাই।
যমুনা টেলিভিশনের সবশেষ আপডেট পেতে Google News ফিড Follow করুন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইউনুস আলী মোবাইল ফোনে জানান, আমি এলাকায় ডিসের ব্যবসা করি। ঘটনার দিন মেয়েটির বাড়িতে গিয়েছিলাম টেলিভিশনের চ্যানেল ঠিক করার জন্য। আমি তার ঘরে ১ থেকে ২২টি চ্যানেল পরিবর্তন করে দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। ওই সময়ে আমার সাথে মেয়ের এক চাচি ছিলেন।
মেম্বার ইউনুসের দাবি, মেয়েটির মায়ের কাছে আমি ৪ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলাম। কিন্তু অভাবের কারণে টাকাটা দিতে পারিনি। এতে মানুষের কোথায় মেয়েটির মা আমার বিরুদ্ধে থানায় কুরুচিপূর্ণ অভিযোগ করেছেন।
লোহানীপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ডলু শাহ্ বলেন, মেয়ে কেলেঙ্কারি দেখার এখতিয়ার আমার নেই। ওই ঘটনায় আমার পরিষদের ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ হয়েছে। সেই ইউপি সদস্য আইনগতভাবে মোকাবেলা করবেন।
/এনএএস
Leave a reply