বাংলাদেশের কৃষির বিকাশে সার্বিকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতি অন্তর্ভুক্তিকরণের তাগিদ দিয়েছেন দেশিবিদেশি অংশীজনরা। গত মঙ্গলবার (২৩ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএসএআইডি (USAID)-এর অর্থায়নে ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ডিজিটাল এগ্রিকালচার অ্যাক্টিভিটি আয়োজিত ‘পাবলিক সেক্টর ডিজিটাল এগ্রিকালচার পলিসি: গ্যাপস অ্যান্ড ও রেকমেন্ডেশনস’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় কৃষিকাজে ডিজিটাল পদ্ধতির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জসমূহ উঠে আসে
এই গোলটেবিল আলোচনায় কৃষিখাতে ডিজিটাল পদ্ধতি নিয়ে করা গবেষণার ফলাফল উপস্থাপনা করা হয়। গোলটেবিলে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সরকারি প্রতিনিধি, দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, ডিজিটাল কৃষি অ্যাপ ডেভেলপার, বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধি, বেসরকারি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
এতে এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর কৃষিতে ডিজিটাল টুলসমূহ অধিক সহজলভ্য করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কর্তৃক তৈরিকৃত খামারি (Khamari) অ্যাপকে একটি সিঙ্গেল সোর্স প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা প্রতিটি কৃষক বা ব্যবসায়ীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে ।
উক্ত আলোচনায় সরকারি খাতে ডিজিটাল কৃষি নীতি প্রয়োগের বর্তমান অবস্থা এবং চ্যালেঞ্জ, কৃষিতে ডিজিটাল প্রযুক্তি গ্রহণ ও সম্প্রসারণে বিদ্যমান দুর্বলতাগুলো চিহ্নিতকরণ, এবং কৃষিতে ডিজিটাল ইনোভেশন ত্বরাণ্বিত করতে পাবলিক-প্রাইভেট সহযোগিতামূলক মডেল তৈরির বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে ইউএসএআইডির ইকোনোমিক গ্রোথ অফিসের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক কেভিন ফাথ দেশের সামগ্রিক কৃষি কাঠামোর মধ্যে ডিজিটাল সমাধান এবং অন্তর্ভুক্তির পথ সহজ করার ক্ষেত্রে ইউএসএআইডি কী কী ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেন।
ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ডিজিটাল এগ্রিকালচার অ্যাক্টিভিটির কান্ট্রি লিড সাজেদুল হক তার সমাপনী বক্তব্যে ডিজিটাল কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চালিকা শক্তি হিসাবে সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতামূলক উদ্যোগ এবং কৃষক ও সুবিধাভোগীদের অন্তর্ভুক্তির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচকবৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে কার্যকর সুপারিশের একটি ধারণাপত্র তৈরি করেছেন যা নীতি নির্ধারক, সরকারি সংস্থা এবং অন্যান্য অংশীজনদের এক করবে এবং অদূর ভবিষ্যতে ডিজিটাল কৃষি নীতিমালা বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ডিজিটাল এগ্রিকালচার অ্যাক্টিভিটি হলো ইউএসএআইডির অর্থায়নে বাস্তবায়িত একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষি কাজে ডিজিটাল পদ্ধতি অন্তর্ভুক্তিকরণে সরকারি নীতিমালা পর্যালোচনা এবং কৃষি খাতের দুটি অন্যতম মন্ত্রণালয়- কৃষি মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক তৈরিকৃত ডিজিটাল কৃষি অ্যাপগুলোর ব্যবহার ও সম্প্রসারণে প্রতিবন্ধকতা পর্যালোচনা করা হয়েছে।
Leave a reply