রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হকের বিরুদ্ধে তার দুই সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে উপাচার্যের কাছে অভিযোগপত্র দিয়েছেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া। তবে এ অভিযোগকে ঘিরে বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ।
এর আগে, গত বুধবার (২৪ মে) বিভাগের সভাপতি নয়জন শিক্ষকের স্বাক্ষরসহ উপাচার্যের কাছে অভিযোগপত্র দেয়ার পর স্বাক্ষর তুলে নেন তিন শিক্ষক।
এদিকে, ওই অভিযোগকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত অধ্যাপক।
এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, অভিযোগগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলে মতামতের জন্য দেয়া আছে। সেখানে অভিযোগ যাচাই-বাচাই করা হবে। তারপর এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে, শনিবার (২৭ মে) সকালে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. এনামুল হকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন তার কয়েকজন নারী সহকর্মী। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন রাবি’র বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও রাজশাহী মহিলা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
তারা বলেন, গত রোববার (২১ মে) দুপুরে বিভাগের চেয়ারম্যানের অফিসে বিভাগের সকল শিক্ষকের সামনেই দুই নারী সহকর্মীর সাথে যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করেন অধ্যাপক এনামুল। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
অন্যদিকে, উপাচার্যকে আলাদাভাবে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছে বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যকার দুইটি গ্রুপ। একটি পক্ষ অধ্যাপক এনামুল হকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। আর অপরপক্ষের দাবি , এনামুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সত্য নয়। তারা নিজ বিভাগে বসে এ সমস্যার সমাধান চান। সমাধানের জন্য উপাচার্যর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
আর উপাচার্য জানিয়েছেন, দুই পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
/এসএইচ
Leave a reply