মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নেই গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। চলমান ১০টি মেগা প্রকল্পেই যাচ্ছে মোট বরাদ্দের ২৩ ভাগ অর্থ। আগামী অর্থবছরের এডিপিতে এসব প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এছাড়া ১০টি মন্ত্রণালয় ব্যয় করবে মোট বরাদ্দের ৮০ ভাগ অর্থ। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে মোট এডিপি’র আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে সুফল পাবে মানুষ। কিন্তু অন্য দিকেও নজর দেয়া দরকার।
দেশের ইতিহাসে একক হিসেবে সবচেয়ে বেশি টাকা বরাদ্দ পাওয়া প্রকল্প হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মিলবে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ২০২৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সরকার। তাই আগামী অর্থবছরের বাজেটে এই মেগা প্রকল্পে রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ বরাদ্দ।
শুধু পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পই নয়, পদ্মা সেতু, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ এমন ১০টি মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মোট বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি’র ২৩ ভাগ অর্থ। টাকার অংকে যা ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। প্রশ্ন হচ্ছে চলমান মেগা প্রকল্পে উন্নয়ন ব্যয়ের বড় অংকের অর্থ বরাদ্দ রাখা কতটা টেকশই হবে?
এ বিষয়ে অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. জাহিদ হোসেন বলেন, যেসব প্রকল্পের অগ্রগতি খুব কম এবং যেগুলোর প্রভাবও তেমন বেশি পড়বে না, সেগুলোর বিষয়ে আমাদের পুনরায় বিবেচনা করে দেখতে হবে।
শুধু মেগা প্রকল্পই নয়, এডিপিতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে ১০ মন্ত্রণালয়। টাকার অংকে যা ১ লাখ ৯৩ হাজার কোটি টাকা। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক মোট বরাদ্দের প্রায় ৭৩ দশমিক ৪৩ ভাগ। সবচেয়ে বেশি অর্থ পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তারপর সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের নাম। তৃতীয় অবস্থানে আছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল প্রান্তিকে ব্যয় হয়েছে এডিপি বরাদ্দের অর্ধেক অর্থ। আর্থিক সংকট এবং কৃচ্ছতাসাধন নীতির কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
এ ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমাদের সমস্যা আছে। বাস্তবায়নের রেকর্ড আমাদের খুব ভালো নয়। এ ক্ষেত্রে আরও ভালো করার সুযোগ আছে। তাই এমন একটি বাজেট আমরা চাই, যেটা পুরোপুরি বাস্তবায়ণ করতে পারবো বলে আমরা মনে করি। আমরা বাস্তবায়নের মাত্রা বাড়াতে চাই।
অবশ্য, অর্থের নানামুখী টানাপড়েনে আগামী অর্থবছরেও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে ব্যয় করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশ্লষকরা।
এসজেড/
Leave a reply