জর্ডানের যুবরাজ আল হুসেইন গাটছড়া বাধছেন সৌদি আরবের প্রভাবশালী পরিবারের মেয়ে রাজওয়া আল সাইফের সাথে। কয়েক ঘণ্টা পর আম্মানের জাহরান প্রাসাদে বসবে বিয়ের আসর। ক্রাউন প্রিন্সের বিয়ে উপলক্ষে উৎসবে মেতেছে গোটা দেশ। প্রথা ও ঐতিহ্য অনুযায়ী চলছে জাঁকজমকপূর্ণ নানা আয়োজন। সৌদি নাগরিক রাজওয়ার সাথে জর্ডানের রাজপুত্রের এই বিয়েকে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলছেন অনেক বিশ্লেষক। খবর ডয়েচে ভেলের।
ঐতিহ্য অনুযায়ী যুবরাজের বিয়ে পূর্ব আয়োজনে যোগ দেন পরিবার ও সেনাবাহিনী। পারিবারিক আবহে আনন্দ-হইচইয়ের পর হয় মূল আনুষ্ঠানিকতা। বাদশাহ আব্দুল্লাহর বড় ছেলে অর্থাৎ সিংহাসনের উত্তরাধিকারীকে অভিনন্দন জানানো হয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। শুভ কামনা জানান পরিবারের সদস্যরা।
জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ বলেন, আল হুসেইনের দৃঢ় মনোভব, দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দেশ নিয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য তাকে নিয়ে আমি গর্বিত। এবার বিয়ে করে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে সে।
যুবরাজের বিয়ের আমেজ ছড়িয়েছে সর্বত্র। যুবরাজ ও হবু বধূর ছবিতে সেজেছে গোটা দেশ। পথে পথে চলছে জনতার উৎসব। বিয়ে উপলক্ষে ঘোষণা করা হয়েছে একদিনের সরকারি ছুটি।
ঐতিহ্য অনুযায়ী যুবরাজের হবু বধূ রাজওয়া আল সাইফের সম্মানে মেহেদি উৎসব আয়োজন করেন রানী রানিয়া। জর্ডান ও সৌদি সংস্কৃতির সম্মিলিত রূপ ফুটে উঠেছে তাদের পোশাকে। রানী রানিয়ার আকাশি রঙয়ের লম্বা গাউনের নকশা করেছেন লেবাননের ডিজাইনার সাঈদ কোবেইজি। রাজওয়ার পোশাকটি তৈরি করেছেন সৌদি ডিজাইনার হোনায়দা সেরাফি। সাদা সিল্কের পোশাকে ছিল স্বর্ণের কারুকাজ।
আম্মানের জাহরান প্যালেসে হবে বিয়ের মূল আনুষ্ঠানিকতা। রাজকীয় অনেক বিয়ে ও বহু জাতীয় অনুষ্ঠানের সাক্ষী এই প্রাসাদ।
আল হুসেইনের হবু বধূ ২৯ বছর বয়সী রাজওয়া আল সাইফ পেশায় একজন স্থপতি। সৌদি রাজপরিবারের সাথে বেশ ঘনিষ্ঠ তার পরিবার। তাই এই বিয়ের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছেন অনেকে।
এটিএম/
Leave a reply