কেমন হলো এবারের বাজেট, তা নিয়ে সারা দেশেই এখন আলোচনা। বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এলাকাভিত্তিক বরাদ্দ দেয়া, নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ নানা চাওয়ার কথা তুলে ধরছেন তারা। উত্থাপন হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেট। আয়-ব্যয়ের এই হিসেব তেমন বোঝে না খেটে খাওয়া এসব মানুষ। তবে বাজেট ঘিরে চাওয়া আছে অনেক।
বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী নিত্যপণ্যের দাম। তারওপর নানাক্ষেত্রে করের ব্যাপ্তি বাড়ানোতে আরও বাড়বে জীবনযাত্রার ব্যয়। বিভিন্ন পণ্য কিনতে গুনতে হবে বাড়তি অর্থ। সাধারণ বলছেন, প্রতিবছর বাজেট প্রণয়নের পর দ্রব্যমূল্য কমবে বলে আশা থাকে। কিন্তু প্রতিবছরই বাজেটের পর দাম বাড়তে থাকে।
বাজেটে এলাকাভিত্তিক বরাদ্দের কথাও বলছে কেউ কেউ। কারো দাবি, বাজেট হলেও প্রতিবারই রংপুরের মানুষ বঞ্চিত থাকে। গ্যাস সরবরাহ এবং রাস্তাঘাটের আরও উন্নয়ন দেখতে চায় সাধারণ মানুষ।
প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছে তরুণরাও। তাদের দাবি, জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। সেই সাথে লোডশেডিংসহ নাগরিক সব সমস্যা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদও তাদের।
পর্যটন এলাকাগুলো উন্নয়নে বরাদ্দের দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি, কর্মসংস্থান তৈরির তাগিদও দিচ্ছেন তারা।
এ নিয়ে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি এটিএম শোয়েব বলেন, রেমিটেন্স ছাড়াও আমাদের যেসব আভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য আছে সেগুলোর প্রতি আরও নজর দিতে হবে। সেই সাথে পর্যটন খাতটিকেও ঢেলে সাজানোর পরামর্শ তার।
ব্যবসায়ীদের মতে, এবারের বাজেট নির্বাচনী না হয়ে সংকট নিরসনের বাজেট হওয়া দরকার ছিল।
এসজেড/
Leave a reply