এফএ কাপের ১৪২তম ফাইনাল রূপ নিয়েছে মহারণে। একে তো ম্যানচেস্টার ডার্বি, তার ওপর ফাইনাল ঘিরে দুই ক্লাবের রয়েছে বাড়তি অনুপ্রেরণার রসদ। ম্যানচেস্টার সিটির সামনে আছে মৌসুমের দ্বিতীয় শিরোপা জিতে ‘ট্রেবল’ জয়ের পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সামনে সুযোগ শিরোপা জিতে মৌসুম শেষ করার।
লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটি-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় শনিবার (৩ জুন) রাত ৮টায়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম দল হিসেবে ‘ট্রেবল’ জেতার রেকর্ড আছে একমাত্র রেড ডেভিলদের। সেই স্বপ্নকে সত্যি করার সবচেয়ে সেরা সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটি।
ইতোমধ্যে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে সিটিজেনরা। রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালও নিশ্চিত করেছে আর্লিং হাল্যান্ডরা। শনিবার এফএ কাপের ফাইনালে ইউনাইটেডকে হারাতে পারলেই স্বপ্নের ‘ট্রেবল’ জিতে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পাশে বসবে ম্যানচেস্টার সিটি। আর স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের কীর্তিতে ভাগ বসাবেন পেপ গার্দিওলা।
মহারণের আগে সিটিকে আশা যোগাচ্ছে তাদের সাম্প্রতিক পারফরমেন্স। লিগে শুরুতে পিছিয়ে থেকেও শেষ দিকে এসে দুর্দান্ত খেলে টানা তৃতীয়বারের মতো লিগ শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে গার্দিওলার সিটি। এছাড়াও সিটির খেলোয়াড়েরা আছেন দারুণ ফর্মে। চলতি মৌসুমে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ওপর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে হাল্যান্ড, ডি ব্রুইনারা।
এই মৌসুমের এফএ কাপে (প্রথম রাউন্ডের পর) সবচেয়ে বেশি ১৭ গোল ম্যানচেস্টার সিটির। হাল্যান্ড আছেন দারুণ ফর্মে। এই মৌসুমে সিটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৫২ গোল করেছেন হাল্যান্ড। সেই সাথে এই মৌসুমে এফএ কাপে কোনো গোল হজম করেনি সিটিজেনরা। তাই ম্যানইউর জন্য ম্যাচটা কঠিন হতে পারে। তবে অতীত রেকর্ড ম্যান ইউনাইটেডের পক্ষে। এফএ কাপে সিটির বিপক্ষে শেষ ৬ ম্যাচের পাঁচটি জিতেছে রেড ডেভিলরা।
মৌসুমের শুরুটা ভালো করতে না পারলেও শেষে এসে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে এরিক টেন হ্যাগের দল। ইতোমধ্যে পয়েন্ট তালিকার তিনে থেকে লিগ শেষ করেছে, জায়গা করে নিয়েছে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে। এছাড়াও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে কারাবাও কাপ জিতিয়েছেন টেন হ্যাগ। তাই রেড ডেভিলরা মৌসুমের শেষটা রাঙাতে চান ট্রফি জিতেই।
ফাইনালে সিটিজেনরা নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পারলে টুর্নামেন্টের ১২০ বছরের ইতিহাসে কোনো গোল হজম না করেই শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়বে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
/আরআইএম
Leave a reply