নিখুঁত হাসি শেখার স্কুল! গোমড়ামুখো হয়ে যাওয়া জাপানিদের জন্য খোলা হয়েছে এমনই এক স্কুল। মূলত কোভিড মহামারির কারণে দীর্ঘদিন মাস্কে ঢাকা থাকায় মুখের অভিব্যক্তি প্রকাশই যেন ভুলে গেছেন অনেকে। তাই স্মাইল এডুকেশন ক্লাসে ভর্তি হয়ে নিচ্ছেন প্রশিক্ষণ। ঘণ্টাপ্রতি ক্লাসের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫৫ দশমিক চার তিন ডলার। খবর রয়টার্সের।
হাসতে নাকি জানেনা কেউ। জাপানের জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশকে দেখলে এখন এমনটিই মনে হতে পারে। রীতিমতো গাল টেনে টেনে চলছে হাসার চেষ্টা। এই দৃশ্য রাজধানী টোকিওর একটি স্কুলের। যার নাম ইগাওইকু।
প্রচলিত কোনো ক্লাস নয়, এখানে চলছে হাসির প্রশিক্ষণ। নোট নিচ্ছেন মনোযোগী শিক্ষার্থীরা। আয়নার সামনে চলছে অনুশীলন। উপরে, নিচে, সামনে, পেছনে টেনে টেনে চলছে মুখমণ্ডলের ব্যায়াম।
২০১৭ সালে হাসি প্রশিক্ষণের স্কুলটি তৈরি করেন জাপানের সাবেক রেডিও উপস্থাপক কেইকো। পদার্থবিদ্যা ও মনোবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে হাসির গুরুত্ব নিয়ে দীর্ঘদিন লেখাপড়ার পর তৈরি করেছেন এই লেসন। বর্তমানে ২৩ জন প্রশিক্ষিত শিক্ষক কাজ করছেন তার স্কুলে। শিক্ষার্থী সংখ্যাও কম নয়। মহামারির পর যা বেড়েছে চারগুণ।
স্কুলটির প্রশিক্ষক কেইকো কাওয়ানো বলেন মুখ, গাল, চোখ। এই হলো প্রকৃত হাসির ক্রম। মহামারিতে বাড়িতে থাকতে থাকতে মুখের অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো নড়াচড়া না করাই অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। কিন্তু হাসির মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের কাছাকাছি যেতে পারবেন আপনি। জীবন সুন্দর হবে। একটি হাসিমুখ মানে হলো একজন সুখী মানুষের মুখ।
বিভিন্ন ভাইরাস নিয়ে সচেতন জাপানিদের মাঝে কোভিডের আগে থেকেই মাস্কের ব্যবহার বেশ নিয়মিত। মহামারির পর মাস্ক পরার বিধিনিষেধ তুলে নিলেও মাত্র ৮ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরা পুরোপুরি ছেড়েছে।
এটিএম/
Leave a reply