আল-আমিন হক অহন:
জাতীয় নির্বাচনের আগেই ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চালু করার কথা ভাবছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেপ্টেম্বরেই এই ট্রেনে চেপে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে পারবেন যাত্রীরা। সময় লাগতে পারে ৯ থেকে সাড়ে ৯ ঘণ্টা। শুরুতে মাত্র একটি ট্রেন চলবে বহু কাঙ্ক্ষিত এই রুটে। তবে পর্যায়ক্রমে বাড়বে ট্রেনের সংখ্যা।
গত বছর জুনে চালুর কথা ছিল ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তা হয়নি। তবে আসছে জাতীয় নির্বাচনের আগে এই পথে যাত্রী পরিবহনের কথা ভাবছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তাই সেপ্টেম্বরের আগেই রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ করতে কাজ চলছে জোরেশোরে।
কাজের অগ্রগতির কথা জানিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের মহাব্যবস্থাপক ও প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, এখনও আমাদের অনেক মালামাল পৌঁছায়নি। অনেক মালামাল আছে, যেগুলো বহনকারী জাহাজই এখনও দেশে আসেনি। তবে সেগুলো চলতি মাসেই চলে আসবে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা না হলে আমরা আশা করতে পারি, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত ট্রেন চলাচল করতে পারে ততোটা কাজ শেষ করতে পারবো।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে আপাতত একটি ট্রেন কমলাপুর স্টেশন থেকে রাত সোয়া আটটায় অথবা রাত পৌনে ১২টায় কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়ার চিন্তা করছে রেলওয়ে ট্রাফিক বিভাগ। তবে এত বড় প্রকল্পে মাত্র একটি ট্রেন চালুর বিষয়টি বাস্তবসম্মত কিনা সে বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, আমরা কখনওই চাইবো মাত্র একটি ট্রেন এই রুটে থাকুক। এটি অর্থনৈতিক দিক থেকেও যৌক্তিক নয়। তবে কোচ, ইঞ্জিন ও জনবল সংকট রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সেগুলো বাড়ানো হবে।
নতুন তৈরি হওয়া চট্টগ্রামের দোহাজারি হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইনে থাকছে নয়টি স্টেশন। তবে ভাবাচ্ছে চট্টগ্রাম-দোহাজারী সেকশনের পুরনো রেলপথ ও কর্ণফুলী নদীর ওপর মেয়াদোত্তীর্ণ কালুরঘাট সেতু।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলমান রেলপথ নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এ পর্যন্ত ৮৪ শতাংশের মতো কাজ শেষ হয়েছে। এই রেলপথে কক্সাবাজার ভ্রমণের জন্য মুখিয়ে রয়েছে রাজধানীর যাত্রীরা। তারা বলছেন, রুটটি চালু হলে আরও দ্রুত পৌঁছানো যাবে কক্সবাজারে।
এসজেড/
Leave a reply