স্টাফ করেসপনডেন্ট, যশোর:
আকার ও ওজনে দেশের সবচেয়ে বড় আমের সন্ধান পাওয়া গেছে যশোরের হর্টিকালচার সেন্টারে। ব্রুনাই কিং জাতের এক একটি আমের ওজন প্রায় ৫ কেজি। খেতেও সুস্বাদু। চাষী পর্যায়ে এ আম প্রসারে কলম তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, চার বছর আগে যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে ব্রুনাই কিং নামের এ আমের চারা রোপণ করা হয়। দ্বিতীয়বারের মতো গাছটিতে ধরেছে তিরিশটির মতো আম। ৭-৮ ফুট উঁচু এ গাছের পাতাগুলো বেশ বড় এবং লম্বা-চওড়া। পাতার ফাঁকে ফাঁকে শোভা পাচ্ছে কাঁচা আম। রং হালকা সবুজ, আকার লম্বাটে চ্যাপটা। সরু বোটায় ঝুলে থাকা সবচেয়ে বড় আমটি লম্বায় ১২ ইঞ্চি ও মোটা বা বেড় ১৫ ইঞ্চি। যা ওজনে প্রায় ৫ কেজি।
ব্রুনাইয়ের রাজকীয় বাগানের এ আমটি দেশে এসেছে মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী গ্রামের নার্সারি মালিক আতিয়ার রহমানের ভাগ্নের হাত ধরে। এরপর আতিয়ার রহমান নিজ নার্সারিতে এ আমের গাছ তৈরি করেন। তার কাছ থেকে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়েছে এ আম গাছের চারা। আতিয়ার রহমানের কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করে যশোর হর্টিকালচার সেন্টারে একটি মাতৃ গাছ তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি দুই বছর ধরে ফলা আকর্ষণীয় এ আমগুলো ৩ থেকে ৫ কেজি ওজনের হচ্ছে। উত্তম পরিচর্যা করলে আকার এবং ওজনে এ আম আরও বড় হবে।
ফলে এ আমকে দেশের সবচেয়ে বড় আম বলা হচ্ছে। এ আমের মুকুল আসে অন্যান্য আমের মতো একই সময়ে। তবে পাকে অনেক দেরিতে এবং স্বাদে ফজলি আমের মত। চাষী পর্যায়ে এ আম প্রসারে কলম তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। ফলে সৌখিন আম চাষিরা এ গাছ লাগাতে পারেন বলে মত দিয়েছেন কৃষিবিদগণ।
যশোর হর্টিকালচার সেন্টার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ দীপঙ্কর দাশ, প্রথম বছরে আমগুলো এক ধরণের রোগ দেখা দিয়েছিল। আম গাছেই ফেটে যাচ্ছিল। পরে ওষুধ স্প্রে করে সেটা ঠিক করা হয়েছে। এ বছর আমে কোন ধরণের সমস্যা হয়নি।
এএআর/
Leave a reply