তাহমিদ অমিত:
সাত নম্বরে আফিফ-রিয়াদের সাথে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকার প্রতিযোগিতায় আছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। কিন্তু, বিশ্বকাপ তো দূরে থাক আফগানিস্তানের বিপেক্ষ ২৬ জনের ক্যাম্পেও জায়গা হয়নি তার। এ নিয়ে রীতিমত হতাশ এ ক্রিকেটার। কি কারণে তাকে রাখা হয়নি, আর কোথায় ভালো করতে হবে সেটাও জানানো হয়নি সৈকতকে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সৈকতের দাবি কোনো নির্বাচক কথাও বলেননি তার সাথে।
বিশ্বকাপে সাত নম্বরে রিয়াদ-আফিফের সাথে দৌড়ে আছেন সৈকত- শুধুমাত্র খালেদ মাহমুদ সুজনই না স্বয়ং বিসিবি সভাপতিও এমন দাবি করেছেন অনেকবার। তাহলে তো তার আফগানিস্তানের বিপক্ষে অন্তত ২৬ জনের ক্যাম্পে থাকার কথা? কিন্তু ক্যাম্প তো দূরে থাকা, এ দলেও নেই আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করা এ অলরাউন্ডার।
প্রশ্ন: এখন তো মাঠে থাকার কথা। কিন্তু আপনি বাসায় কেনো?
জানতে চাইলে অলরা্উন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বলেন, আমার মাঠেই থাকার কথা। শুনেছিলাম যে। আমাকে বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে আমি ক্যাম্পে নেই। আমি নিজেও অবাক হয়েছি।
প্রশ্ন: নির্বাচক বা কোচ কারো সাথেই কথা হয়নি?
সৈকত: না কারো সাথেই কোনো কথা হয়নি। কেউ যদি বাদ পড়ে তাহলে তাকে জানিয়ে দেয়ার কালচারটা দুই-তিনটা সিরিজ আগেও ছিল। অ্যাটলিস্ট জানাতো যে অমুক কারণে বাদ পড়েছে বা কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে। সাত নম্বরে খেলার প্রস্ততি নেয়ার জন্য প্রিমিয়ার লিগে আমি ইচ্ছে করেই সাত নম্বরে ব্যাটিং করেছি। বিশ্বকাপ তো আরও চার মাস পরের ব্যাপার অন্তত এর আগে যে ক্যাম্পগুলো আছে সেগুলো করতে পারলেও ভাল হতো। নিজেকে আরেকটু প্রিপেয়ার করতে পারতাম।
আমরা তো সবসময়ই বলি সৈকতের সম্ভাবনার কথা। আপনার কী কখনও মনে হয় যে নিজের কোনো গাফিলতি আছে কী না?
সৈকত: দেখুন, আপনি হয়তো আশা করবেন যে আপনি সুযোগ পেলে ভালো খেলবেন। কিন্তু, এরপরও সুযোগ না পেলে হতাশা কাজ করাটা স্বাভাবিকও। আমি আমার কাজগুলো করার চেষ্টা করি। আর যখন আমি খেলি তখন আমার হান্ড্রেড পারসেন্ট দিয়েই খেলার চেষ্টা করি। বাইরে থেকে কোনো অভিযোগ আছে কি না আমি জানি না। এটা আমার জানার কথাও না। সাত নম্বরে যেহেতু কনসিসটেন্সি একটা ফ্যাক্টর, এখন আপনি খুব বেশি এমন খেলোয়াড় পাবেন না যারা কনসিসটেন্টলি খেলে যাচ্ছে। আমি নিয়মিত পারফর্ম করার চেষ্টা করে যাচ্ছি আমার পজিশনে। আমার পারফরমেন্স কীভাবে রেট করা হচ্ছে সেটা শুধুমাত্র ম্যানেজমেন্টই জানে।
প্রশ্ন: এখন যে পরিস্থিতি আপনি নিশ্চয়ই হাল ছাড়বেন না?
সৈকত: ওয়ার্ল্ডকাপই তো আর একমাত্র জায়গা না। আমি আমার মতো করে প্রিপারেশন প্রতিদিনই নিচ্ছি। ওয়ার্ল্ডকাপে না হলে হয়তো তার পরে কখনও হবে। আমি হাল ছাড়ছি না। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করে যাচ্ছি। যখন সুযোগ আসবে তখন অবশ্যই সেভাবে নিজেকে এক্সপ্রেস করার চেষ্টা করবো আমি।
/এসএইচ
Leave a reply