রাজশাহী ব্যুরো:
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে টিসিবি পণ্যের বিনিময়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ওই প্রার্থী একসময় ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বও পালন করেছেন বলে জানা গেছে। সম্প্রতি নগরীর সাবিত্রী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের এমন কাণ্ডের একাধিক ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে দাবি প্রতিদ্বন্দ্বী এক প্রার্থীর।
টিসিবি’র পণ্যের বিনিময়ে ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী নিজাম উল আজিমের পক্ষে ভোট চাওয়ার ওই ভিডিও বিস্মিত করেছে খোদ টিসিবি কর্মকর্তাদেরও।
টিসিবি’র রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহিদুল ইসলাম বলেন, ভোটের ক্যাম্পেইনে টিসিবি’র পণ্য ব্যবহার নিঃসন্দেহে অনুচিত। তাদের এমনটা করা ঠিক হয়নি।
ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা যায়, গত শনিবার (৩ জুন) রাজশাহী মহানগরীর সাবিত্রী স্কুলে ঘটে এ ঘটনা। সেখান থেকে পণ্য পেয়েছেন যারা, তারা জানান এর আদ্যপান্ত। অনুসন্ধানে এমন অনেক ভোটারের সন্ধান মিলেছে, যাদেরকে নিজের নামে কার্ড না থাকলেও অন্যের কার্ডে টিসিবি পণ্য দেয়ার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
স্থানীয় ভোটাররা জানান, ওদের যাকে ইচ্ছা তাকে দেয়। কিন্তু আসলে যাদের দরকার তাদেরকে কিছুই দিচ্ছে না।
এদিকে, এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী এক কাউন্সিলর প্রার্থী। যদিও এ ব্যাপারে এখনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বলে দাবি তার।
অভিযোগকারী কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম ফারুক বলেন, উনি ইভিএম ফরমেটে ওনার প্রতীক দেখাচ্ছেন। আর যারা ওনাকে ভোট দেবে বলছেন তাদেরকেই টিসিবি’র পণ্য দিচ্ছেন।
বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাসিক নির্বাচন ২০২৩ এর রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, নিশ্চয়ই বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনী কাজের সাথে অন্য কাজ সমন্বয়ের কোনো সুযোগ নেই।
তবে অভিযুক্ত প্রার্থীর দাবি, এ ঘটনার সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অতি উৎসাহী কর্মী-সমর্থকরা এমন কাজ করে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
কাউন্সিলর প্রার্থী নিযাম উল আজিম বলেন, শুধুমাত্র প্রতীক দেখানো হয়েছে। এটা হয়তো করেছে কেউ। করলেই বা অপরাধ কী?
উল্লেখ্য, নিযাম উল আজিম চার মেয়াদে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালের সিটি নির্বাচনের পর তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০১৫ সালে তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পেয়েছিলেন।
/এসএইচ
Leave a reply